নিজস্ব প্রতিবেদক : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে লাইসেন্স ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকা, নোংরা পরিবেশসহ ভুয়া ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা দেওয়ায় দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা বাজারে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিকসহ সিলগালা করা হয়। পাশাপাশি বন্ধ করে দেয়া হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম । মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১ টার সময় দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারের বিভিন্ন ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে অভিযান চালান দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, এসময় দামুড়হুদা উপজেলা পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.হেলেনা আক্তার নিপা উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যামাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ অভিযানে দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কার্পাসডাঙ্গা বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। এসময় ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের হালনাগাদ লাইসেন্স না থাকা ও ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকায় কার্পাসডাঙ্গা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মি.প্রসাদকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ৩০ হাজার) টাকা অর্থদন্ড প্রদান, ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকা ও পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকায় মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক লুইচকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১০ দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করা । অবেদনবিদ (এনেস্থিসিওলজিস্ট) ছাড়াই অপারেশন থিয়েটার চালু রাখা, সার্বক্ষণিক মেডিকেল অফিসার না থাকা ও অপারেশন থিয়েটার পরিচালনার শর্ত পূরণ না করায় সততা নার্সিং হোমের মালিক আবুল কাশেমকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১৫ পনেরো হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান ও অপারেশন থিয়েটার বন্ধ ঘোষণা করেন। মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ ল্যাবে রাখা ও ল্যাবের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হওয়ায় নদী ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক জহিরকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১০দশ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান এবং অবেদনবিদ (এনেস্থিসিওলজিস্ট) এর অনুপস্থিতিতে অপারেশন থিয়েটার পরিচালনা ও অনুমোদিত বেডের অতিরিক্ত বেড রাখায় এপোলো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শাওনকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ১৫ পনেরো হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান ও অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজিক্যাল ল্যাব বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হেলেনা আক্তার নিপা জানান, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত কোন ডাক্তার নেই, নেই কোন এন্যাসথেসিয়া, নোকরা পরিবেশ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র না থাকায় এবং পরিবেশ ভালো না থাকায় সিলগালা করে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এসময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দসহ কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এস আই হারুর অর রশিদ ও একটি চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন।