নিজস্ব প্রতিবেদক : জীবিকার তাগিদে প্রবাসে যেয়ে ফিরতে হলো লাশ হয়ে। দির্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে দামুড়হুদা উপজেলার সদাবরি গ্রামের আবু বক্কর নামে এক যুবকের। দির্ঘ ২০ দিন পর দেশে ফিরেছে আবু বক্করের লাশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ ই মার্চ) সকাল ৭ টার দিকে ঢাকা শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌছায় আবু বক্করের মরদেহ। এরপর সেখান থেকে আবু বক্করের স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্সে বিকাল ৩ টার দিকে তার মরদেহ নিজ গ্রাম দামুড়হুদা উপজেলার সদাবরীতে নিয়ে আসে। মৃত্যু আবু বক্কর দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামের ঈদগাহ পাড়ার সওদার মন্ডলের বড় ছেলে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জীবিকার তাগিদে ১৪ বছর আগে ওমানে পাড়ি জমান আবু বক্কর (৩৫), তারপর ওমান থেকে যায় দুবাইয়ে সেখানে দীর্ঘদিন থাকার পর আবার চলে আসেন ওমানে। সেখানে কিছুদিন থাকার পর অবৈধ পথে যান লিবিয়ায় সেখানে বেশ কিছুদিন থাকার পর দালালদের মাধ্যমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ পথে পাড়ি জমান ইউরোপীয় দেশ ইটালিতে সেখানে প্রায় ৩ বছর থাকার পর গত ১ মার্চ আবু বক্কর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানেই মৃত্যু বরণ করেন। দীর্ঘদিন পিতা মাতা ভাই বোন ফেলে বিদেশের মাটিতে বসবাস করে আসছে সংসারের কথা চিন্তা করে এ বছর ছুটিতে বাড়ি ফিরে বিবাহ করার কথা ছিলো। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস জীবিত অবস্থায় বাড়ি ফেরা হলো না বক্করের । ফেরলেন লাশ হয়ে। গত ১ মার্চ বাংলাদেশ সময় সকাল ৮ টার দিকে ইটালি থেকে ফোনে জানানো হয় রাতে আবু বক্কর অসুস্থ হয়ে মারাগেছে, এমন খবর শোনার পর পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। ভারি হতে থাকে এলাকার আকাশ বাতাস। কান্নায় ভেঙে পড়ে স্বজনরা। আবু বক্করের লাশের দিকে চেয়ে থাকে পরিবারের লোকজন। এদিকে দীর্ঘ ২০ দিন পর বক্করের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছালে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য সৃষ্টি হয়। পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে গ্রামের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। বাবা সওদার বলেন, আমার ছেলে দীর্ঘ ১৪ বছর আগে বিদেশে যায়। একটি ফার্মে কাজ করতেন। গত ১ মার্চ সকাল ৮ টার দিকে ওই দেশে থাকা বক্করের বাংলাদেশি সহকর্মী ফোন করে তার মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের জানায়। ছেলের মুখটি দেখার জন্য দীর্ঘ ২০ দিন আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। ছেলের মুখটি দেখতে পেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানায়। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে সদাবরী নিজ গ্রামের কবরস্থানে আবু বক্করকে নামাজের জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।