নিজস্ব প্রতিবেদক : আমি আমার স্বামীর কাছে চলে গেলাম। তাকে ছাড়া থাকতে পারছি না। আমার মেয়েকে দেখে রাখবে। দামুড়হদা উপজেলার ছাতিয়ানতলায় হাতের তালুতে চিরকুট লিখে স্বামীর আত্মহত্যার তিনদিন পর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে স্ত্রী। রবিবার (২৪ মার্চ) ভোরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের সদাবরী গ্রামের খোকনের ছেলে মিকাইল ভালোবেসে বিয়ে করে নাটুদা ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামের রফিকুলের মেয়ে রুপসীর সাথে। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে আসে একটি ফুটফুটে বাচ্চা। বিয়ের পর থেকেই মিকাইল ছাতিয়ানতলা গ্রামে ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করে আসছিলো। গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ছাতিয়ানতলা গ্রাম থেকে খবর আসে মিকাইল বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে । মিকাইলের মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বজনরা আসে তার শশুর বাড়িতে। এসময় মিকাইলের আত্মহত্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং লাশ দেখে পরিবারের সন্দেহ হয়। পরিবারের লোকজন দাবী তোলে তার স্ত্রী তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। মিকাইলের ময়নাতদন্ত শেষে একদিন পর গত শুক্রবার দুপুরে দাফন সম্পন্ন করা হয়। স্বামীর মৃত্যুর তিনদিন পর স্ত্রী রুপসী নিজ ঘরে রবিবার ভোরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। রুপসীর আত্মহত্যার পর পরই এলাকা জুড়ে মিকাইলকে হত্যার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তাদের দাবী মিকাইলকে হত্যার কারনে নিজে ফেঁসে যাবে এমনটা ভেবে রুপসী নিজেই আত্মহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে বলে ধারণা করছে গ্রামবাসী। এ বিষয়ে জানতে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) শেখ মাহবুব সাথে কথা বললে তিনি জানান, লাশ উদ্ধার করে সুরত হাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে।