নিজস্ব প্রতিবেদক : চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঝাজরি গ্রামে রুবেল (২৫) ও দামুড়হুদা উপজেলায় আহাম্মদ মল্লিক (৬৫) নামে দুজন বজ্রপাতে নিহত হয়েছে ও টুনু খাতুন (৩০) নামে এক গৃহবধূ আহত হয়েছেন। নিহত রুলেল মিয়া চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাজরি গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। নিহত আহাম্মদ মল্লিক দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা গ্রামের মৃত: খেদের মল্লিকের ছেলে ও আহত টুনু খাতুন একই উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামের মিলনের স্ত্রী। ১১ মে শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ঝাজরি স্কুল মাঠে ও পাটাচোরা মাঠে ও গোবিন্দহুদা গ্রামের বসত বাড়িতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দামুড়হুদা সদর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার পাটাচোরা গ্রামের কুতুব উদ্দীন জানান, শনিবার ( ১১ মে) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয় চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা এলাকায়। এসময় মাঠে কাজ করছিলেন আহাম্মদ মল্লিক। বজ্রবৃষ্টি শুরু হলে আহাম্মদ মল্লিক মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার জন্য রওনা দিলে মাঠের রাস্তায় সে বজ্রপাতে মানাত্নক ভাবে আহত হয়। এসময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। অপরাদকে ঝাজরি গ্রামের রুবেল মিয়া সকালে ধনে বোপন করে বাড়িতে ফেরার সময় ঝাজরি স্কুল মাঠ সংলগ্ন বজ্রপাত হলে সঙ্গে সঙ্গে নিহত হন। এদিকে গোবিন্দহুদা গ্রামে বজ্রপাতে আহত গৃহবধু টুনু খাতুনের স্বামী মিলন মিয়া জানান, বজ্রবৃষ্টির সময় বাড়িতে ঘরের দরজায় বসাছিল টুনু। এমন সময় বাড়ির উঠানে বজ্রপাত হলে সে গুরুত্বর আহত হয়ে জ্ঞান হারায়। এসময় পরিবারের সদস্যরা সাথে সাথে তাকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা. হেলেনা আক্তার নিপা জানান, জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজিয়া নওরিন তাকে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসার আগেই বজ্রপাতে আহত আহাম্মদ মল্লিক মারাযায়। এছাড়া বজ্রপাতে গুরুত্বর আহত টুনু খাতুনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহিদ আশরাফ রবিন জানান, বজ্রপাতে আহত গৃহবধু টুনু খাতুনকে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে অবজারভেশনে আছে। কয়েক ঘন্টা না গেলে কিছু বলা যাবে না। তবে তার শরীরে কোথাও পোড়ার চিহৃনেই। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে বজ্রপাতের শব্দে তার কানের সমস্যা হয়েছে।