নিজস্ব প্রতিবেদক : কেরু চিনিকলে মৌসুমী শ্রমিক ও কর্মচারি স্থায়ী করনে অত্র মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়াই সদর দপ্তর থেকে ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি প্রদান করেছে । বিষয়টি নিয়ে অত্রমিল ও চিনি শিল্পের সদর দপ্তরে বেশ হইচই পড়ে গেছে বলে জানগেছে, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ শেখ সোয়েবুল আলম (গ্রেড-১) স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে গত ১৩ ও ১৪ মে কেরুর মৌসুমি থেকে স্থায়ী করনের মৌখিক ও লিখিত পরিক্ষা গ্রহন করে ১০৪ জনকে মৌসুমি থেকে স্হায়ী করে ১৫ মে নিয়োজন পত্র দেয়া হয়। একই দিনে চাকরির নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে তাদের যোগদান করান,যেখানে একই তারিখ ১৫ মে সদর দপ্তর থেকে মৌসুমি থেকে স্হায়ী করনসহ সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করে তাদের নিয়োগ দিয়েছেন কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, এতে প্রমানিত হয় যে আপনি উর্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে পুর্ব পরিকল্পিত ভাবে নিজ স্বার্থ লাভালাভের নিমিত্তে জনবল নিয়োগে অনিয়ম করেছেন। যা বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন কর্মচারি প্রবিধানমালা ১৯৮৯ এর পরিপন্থী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এজন্য আপনাকে( কেরুর এম.ডি মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন) লিখিতভাবে ও স্ব শরীরে চিনকলের সদর দপ্তর ঢাকা কার্যালয়ের চেয়ারম্যান মোঃ শেখ সোয়েবুল আলম (গ্রেড-১) এর কাছে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ করা হল। আপনি ব্যাখ্যা দিতে ব্যার্থ হলে এক তরফাভাবে আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্হা নেয়া হবে বলে পত্রে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এ দিকে মিলের মৌসুমি ফিটার হেলফার বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বাবুল আকতার সাংবাদিকদের জানান মৌসুমি থেকে স্হায়ী করনের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষন না করায় চুয়াডাঙ্গা কোটের আইনজীবি এ্যাডঃ আকবর আলির মারফতে কেরু এন্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বরাবর একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলে সেটাও তিনি গ্রাহ্য করেননি বলে জানানো হয়। এ ছাড়া গত ১৫ ই মে তারিখে মৌসুমি থেকে স্হায়ী জনবল নিয়োগ করনের বিষয়ে সঠিক নীতিমালা অনুস্বরন না করার অভিযোগ এনে বাংলাদেশের সর্বচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট থেকে একটি স্ট্রে অর্ডার হয়েছে। সাধারন শ্রমিক কর্মচারি ও এলাকার আখচাষীরা সাংবাদিকদের কাছে জানালেন করপোরেশনের নির্দেশে মৌসুমি থেকে স্হায়ী করনের কাজ চলমান ছিল, ১৩ ও ১৪ মে মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষা নিয়ে পরদিন ১৫ মে যাচাই বছাইয়ের সময় ( ১৫ মে) করপোরেশন থেকে সচিব চৌধুরি রুহুল আমিন কাইসার স্বাক্ষরিত একটি জরুরী পত্র আসে যে দেশের সকল চিনিকলের মৌসুমি থেকে স্হায়ী করনের কার্যক্রম অনিবার্য কারন বষত বন্ধ থাকবে । এই চিঠি পাওয়ার পর দেশের সকল চিনিকল কার্যক্রম স্হগিত করলেও কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ১৫ মে তারিখ ১০৪ জনের নামে নামে নিয়োজনের চিঠি দিয়ে সেই দিনেই কিভাবে জয়েন করালো,এবং সেটা কার স্বার্থে বা কিশের বিনিময়ে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। ১৩ ও ১৪ মে মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষা দুপুর ১২ টায় শেষ হলে কিভাবে সেটা যাচাই বাঁচাই করে ১৫ মে তারিখে নামে নামে চিঠি করে যোগদান করানো সম্ভব তা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এবিষয়ে পরিস্কার করে জানতে চাই সুধীমহল। বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও দুর্নিতি দমন কমিশন কতৃক যাচাই বাছাই করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন অনেকেই ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ জাহাঙ্গীর আলম || বার্তা সম্পাদক: শাকিল মাহমুদ শান্ত || টঙ্গী দত্তপাড়া, জহির মার্কেট, টঙ্গী গাজীপুর ঢাকা। E-mail: editorgrambarta@gmail.com যোগাযোগ : ০১৯১১-২৪৫৮৯৫ | ০১৯১৩-৩৪৪৮১৭ | ০১৭৩১-৬১৬২১৫ | ০১৯৭২-৬১৬২১৫