জাহাঙ্গীর আলম : শিক্ষা যদি হয় জাতির মেরুদণ্ড, তবে শিক্ষককে বলা হয় শিক্ষার মেরুদণ্ড। শিক্ষক হলেন ন্যায়-নীতি আর আদর্শের প্রতীক। এরই বাস্তব প্রমাণ বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মনির স্যার। স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষায় অবদান রেখেও যে আঞ্চলিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা যায়, মনির স্যার তেমনই একজন ব্যক্তি। নানা প্রতিকূল অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে গাজীপুর মহানগরের গাছা অঞ্চলে শিক্ষার হার কম হওয়ার কারণ ছিল সচেতনতা ও সুষ্ঠু যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব। এরই মাঝে এ এলাকায় শিক্ষার বিস্তারে যে কয়েকজন ব্যক্তির অবদান অনস্বীকার্য, তাদের অন্যতম শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার (এমপি) যাহার অক্লান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালে গড়ে উঠে বঙ্গবন্ধু কলেজ। হাটিহাটি পা পা করে দির্ঘ ২৭ বছর সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি । সেই ধারাবাহিকতায় অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মনির স্যার কলেজের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের সমন্বয়ে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মনির স্যার গত ১ মার্চ ২০২৩ সালে বঙ্গবন্ধু কলেজে যোগদান করেছেন, এর আগে তিনি টঙ্গী পাইলট স্কুল এন্ড গার্লস কলেজে দির্ঘ ১৩ বছর বেশ সুনামের সাথে শিক্ষকতা করেছেন। দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে নীতির প্রশ্নে তিনি অটল ছিলেন। ফলে তার সব ছাত্রছাত্রীর কাছে ছিলেন আদর্শ ও নীতির মূর্তপ্রতীক। বিদ্যালয়ের নিয়মশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মকাণ্ডে তার ওপর বিদ্যালয় প্রশাসনের ছিল গভীর আস্থা ও নির্ভরতা। ছাত্রছাত্রীদের ছিল অগাধ ভক্তি ও শ্রদ্ধা। শিক্ষকতা জীবনে তিনি এ অঞ্চলের গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করেছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু কলেজে যোগদান করার পর ইতিমধ্যে কলেজের দৃশ্যপট বদলিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষার মান, কলেজ ক্যাম্পাস সহ কলেজের ভালো ফলাফলে দৃষ্টান্ত সাক্ষর রেখে চলেছেন। বঙ্গবন্ধু কলেজের প্রতিষ্ঠাতা শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার (এমপি) ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক। তিনি ছিলেন রাজনৈতিক বা আঞ্চলিক দলাদলির ঊর্ধ্বে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। যে জ্ঞানের প্রদীপশিখা তিনি এ অঞ্চলে প্রজ্বলিত করে গেছেন, তার ঋণ শোধ করার মতো নয়।