নিজস্ব প্রতিবেদক : চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার আন্তজেলা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোরচক্রের মূলহোতাসহ ৭ জন চোরকে গ্রেফতার করেছে দামুড়হুদা থানা পুলিশ। ১২ জুন বুধবার বিকাল ৪ ঘটিকার সময় তাদেরকে আটক করা হয়। সূত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানাধীন চা`রুলিয়া গ্রামস্থ মোঃ শফিকুল ইসলাম (৪৭) বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন যে, গত ২৬ মে রাত অনুমানিক ১০ ঘটিকা হতে ২৭ মে সকাল অনুমানিক ৬ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা দামুড়হুদা থানাধীন চারুলিয়া গ্রামের দক্ষিন মাঠে বাদীর গভীর সেচ প্রকল্পের জমির পল্লী বিদ্যুতের বৈদ্যুতিক পিলার হতে ৩ (তিন) টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে যায়।(যাহার মূল্য আনুমানিক ২ লক্ষ টাকা) বাদীর এজাহারের প্রেক্ষিতে দামুড়হুদা মডেল থানার মামলা নং-১০, তারিখ-২৮ মে ২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- ৩৭৯ পেনাল কোড রুজু হয় এবং তদন্তের ভার এসআই (নিঃ) মোঃ সোহরাব হোসেন এর উপর অপর্ণ করা হয়। এদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানাধীন পীরপুরকুল্লা গ্রামস্থ মোঃ আব্দুল কাদের (৬৩) বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন যে, গত ৫ জুন সন্ধ্যা অনুমানিক ৭ ঘটিকা হতে ইং ৬ জুন সকাল অনুমানিক সাড়ে ৬ ঘটিকার মধ্যে যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা চোর/চোররা দামুড়হুদা থানাধীন কার্পাসডাঙ্গা মৌজাস্থ গালকাটি মাঠে বাদীর নিজ জমি থেকে গভীর সেচ প্রকল্পের পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ পিলারের ৩ (তিন) টি ট্রান্সফরমারের তামার কয়েল (যাহার মোট আনুমানিক মূল্য ১লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা) চুরি করে নিয়ে যায়। বাদীর এজাহারের প্রেক্ষিতে দামুড়হুদা মডেল থানার মামলা নং-০৬, তারিখ-০৬ জুন ২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- ৩৭৯ পেনাল কোড রুজু হয় এবং তদন্তের ভার এসআই(নিঃ) মোঃ হারুন উর রশীদ এর উপর অপর্ণ করা হয়। এরি ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামী গ্রেফতারের জন্য কিছু কৌশল দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসারদের নির্দেশনা অবলম্বনের পরামর্শ দেন। পুলিশ সুপারের সার্বিক দিকনির্দেশনায়সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা'র তত্ত্বাবধানে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর কবীর এর নেতৃত্বে এসআই মোঃ হারুন উর রশীদ ও এসআই মোঃ সোহরাব হোসেন নিরবিচ্ছিন্ন অভিযান চালিয়ে ১২ জুন বিকাল সাড়ে ৪ ঘটিকার সময় উপজেলার শিবনগর গ্রামের মৃত আজমত আলীর ছেলে আজগর আলী কে (৩৫) আটক করা হয়। আটককৃত আসামী আজগার আলীর দেওয়া স্বীকারোক্তি পর্যালোচনাকরে তার সহযোগী আসামী কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার তাজপুর গ্রামের মোঃ হায়েত আলীর ছেলে সেলিম (৩৫),কুমারখালী থানার বানিয়াপাড়া গ্রামের মৃত সোরামত আলীর ছেলে বাবু (৫৫) ও নাটের জেলার গুরুদাসপুর থানার শ্যামপুর গ্রামের আহ রশিদ বেপারীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৭) দামুড়হুদা মডেল থানাধীন মুক্তারপুর গ্রামে ট্রান্সফরমার চুরির উদ্দেশ্যে কার্পাসডাঙ্গায় সমবেত হলে তাদেরকে চোরাই কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপকরণসহ গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পারখাদা গ্রামের কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৩,১৪ ও ১৫ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কমিশনার এর স্বামী ও মৃত আঃ কাদেরের ছেলে রঞ্জু আহমেদ (৪২) ও কুষ্টিয়া কুমারখালী থানার বাড়াদি গ্রামের (কুষ্টিয়া বড়বাজার মালিক সমিতির সহসভাপতি ও বস্তা মার্কেট সমিতির সভাপতি) আসলাম উদ্দীনের ছেলে সোহেল কে (৩২) গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের হেফাজত হতে চুরি যাওয়া ট্রান্সফরমারের তামার কয়েল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আসামীদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক পুনরায় দামুড়হুদা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আটক করা হয় দামুড়হুদা উপজেলার হুদাপাড়া গ্রামের মোঃ আবুল হোসেনের ছেলে নায়েব আলী কে(২৬) আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ট্রান্সফরমারের মধ্যে থাকা তামার তার, কয়েল চুরি করে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে থাকে। কুষ্টিয়া থেকে পরবর্তীতে ঢাকায় বিক্রয় করে। উক্ত তামার তার, কয়েল রিফেয়ারিং করে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার ও ফ্যানসহ বিভিন্ন তামার জিনিস তৈরি হয়। একটি ট্রান্সফরমারের মূল্য অনুমান-৬৭ হাজার টাকা। প্রতিটি ট্রান্সফরমারের মধ্যে (সাইজ অনুযায়ী) প্রায় ১৫লিটার তেল এবং ৬/৭কেজি তামার তার থাকে। মামলার ঘটনা সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পাওয়া পুলিশ। সকল বিষয় যাচাই-বাছাই অব্যহত আছে। ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।