নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের শ্রীপুরে কিশোরী গৃহকর্মীকে একাধিকবার ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ওই চিকিৎসক। এরই মধ্যে আপত্তিকর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।(২৯ জুন) শনিবার রাতে শ্রীপুর পৌরসভার শ্রীপুর বাজারের নিজস্ব চেম্বার থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানার পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসক ফরহাদ উদ জ্জামান (৩৭) শ্রীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আইনজীবী আবুল হাসেমের ছেলে। তিনি একজন ফিজিওথেরাপিস্ট। ভুক্তভোগী গৃহকর্মীর (১৪) বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। তার বাবা একজন রিকশাচালক। কিশোরী গৃহকর্মীর মা বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ শ্রীপুরে ভাড়া থেকে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করে খাই। দুই মাস আগে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এরপর সে আমার ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে তার বাসার কাজ করার জন্য প্রস্তাব দেয়। তখন আমি বেতন ঠিক করে মেয়েকে তার বাড়িতে কাজ করতে পাঠাই। এর কিছুদিন যাওয়ার পর অভিযুক্ত আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সে তার বাসায় ও চেম্বারে নিয়ে আমার মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। কিশোরীর মা আরও বলেন, বিষয়টি মেয়ে আমাকে জানালে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে চিকিৎসকের বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে আসি। নিয়ে আসার পরপরই আমার মোবাইল নম্বরে অপরিচিত একটি মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে। মেয়ে ফোন ধরলে আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এর এক দিন পর সকালে আমার এক আত্মীয় ফোন করে জানায়, মেয়ের আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। এরপর আমি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেয়। অভিযুক্ত মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। আমি এর সঠিক বিচার ও শাস্তি চাই। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান জানায় ধর্ষণের ঘটনায় এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা। আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।