নিজস্ব প্রতিবেদক : দির্ঘ ১৮ বছর পর আগামী ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গাজীপুর জেলা ট্রান্সপোর্ট ঠিকাদার মালিক সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনে সভাপতি পদে দৃড় প্রত্যয় নিয়ে নেতৃবৃন্দ ও ভোটারদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে কাজ করার উদ্দেশ্যে (ছাতা) পতিক নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন সভাপতি পদপ্রার্থী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। ৮ জুলাই পতিক ঘোষনার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় লিফলেট বিতরণ ও ভোটারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় কালে গনমাধ্যমকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকের কাছে বলেন ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা একটি চ্যালেঞ্জিং ব্যবসা আমরা যারা এই ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের অনেক সময় বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় কমিটি থাকলেও গাজীপুরে তেমন কোনো শাক্তিশালি নির্বাচিত কমিটি
ছিলো না। ১৮ বছর আগে নির্বাচনের মাধ্যমে একটি কমিটি হলেও তারপর থেকে কোনো নির্বাচন হইনি। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে একটি অবাদ নিরপেক্ষ নির্বাচন করার দৃড় প্রত্যয় নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহন করা। সকল ভোটারদের দোয়া নিয়ে তিনি সভাপতি পদে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জাহিদুল ইসলাম জাহিদ নির্বাতিত হওয়ার পর সংগঠনের কি উন্নয়ন করবে সে বিষয়ে বেশ লম্বা একটি নির্বাচনি ইসতিহার ঘোষনা করেছেন। এই নির্বাচনে প্রচার প্রচারণায় বেশ এগিয়ে রয়েছেন জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। নির্বাচন বিষয়ে বিভিন্ন ভোটারদের সাথে কথা বল্লে তারা জানান, দির্ঘদিন গাজীপুর ট্রান্সপোর্ট ঠিকাদার মালিক সমিতির নির্বাচন না হওয়ার কারণে সংগঠনটি ঝিমিয়ে পড়ছিলো সংগঠনট পূর্ণ উজ্জীবিত করার জন্য জাহিদুল ইসলাম জাহিদ উদ্যোগ নিয়েছে। সংগঠনের সার্থে তাকে নির্বাচিত করবো ইনশাআল্লাহ ।
ইশতেহার ও কর্ম পরিকল্পনা:
০১। সংগঠনের বৃহত্তর স্বার্থে স্থায়ী ভিত্তিতে লীজকৃত জায়গায় দায়িত্ব গ্রহণের ৩ (তিন) মাসের মধ্যে ৩য় তলা ভবন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
০২। ট্রাক ও কভার্ডভ্যান মালিক সমিতি এবং শ্রমিক ইউনিয়নের সাথে সমন্বয় করে টঙ্গী এলাকায় একটি স্থায়ী টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ করা হবে।
০৩। সমিতির সংবিধান অনুযায়ী প্রতি ৩ (তিন) বছর পর পর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
০৪। ট্রান্সপোর্ট মালিকদের মালামাল চুরি, মালামাল হারিয়ে গেলে স্বল্প সময়ে সর্বোচ্চ প্রশাসনিক ও আইনগত সহায়তার মাধ্যমে চুরি হয়ে যাওয়া
মালামাল উদ্ধারে সহায়তা প্রদান করা হবে।
০৫। কোন গার্মেন্টস ও শিল্পকার খানায় গাড়ী সরবরাহকারী কোন ট্রান্সপোর্ট মালিককে বাদ দেওয়ার পূর্বে ভূক্তভোগী ট্রান্সপোর্টকে তার পাওনা বিল বা টাকা পরিশোধনা করিলে টাকা আদায়ে সংগঠন সর্বাত্মক সহযোগিতা করিবে।
০৬। কোন ট্রান্সপোর্ট মালিক মারা গেলে বা অসহায় হয়ে পড়লে সংগঠনের ফান্ড থেকে তার পরিবারকে সর্বাত্তক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
০৭। সকল ট্রান্সপোর্ট মালিকদের মেধাবী ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার উন্নতিকল্পে মেধাবৃত্তি প্রদান করা হবে।
০৮। সংগঠনের উদ্যোগে ট্রান্সপোর্ট মালিকদের সহযোগিতায় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।
০৯। মালিক সমিতির সদস্য নয় এমন কোন বহিরাগত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সংগঠনের সদস্য না হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করিতে পারিবেন না। অত্র
সংগঠন কর্তৃক সকল সদস্যদেরকে সার্টিফিকেট/প্রত্যায়নপত্র প্রদান করা হইবে।
১০। প্রতি বছর সংগঠনের সকল সদস্যদেরকে নিয়ে বনভোজন ও খেলাধুলার আয়োজন করা হবে।
১১। প্রতি ৬ (ছয়) মাস পর পর সংগঠনের আয়-ব্যায় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১২। নিজস্ব ওয়েবসাইটে সকল সদস্যের পরিচিতি দেওয়া থাকবে এবং প্রত্যেক সদস্যকে স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে।
১৩। সংগঠনকে গতিশীল করার লক্ষ্যে গঠনতন্ত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধন, সংযোজন, বিয়োজন করা হবে।
১৪। কমিটি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় নির্বাচনের পূর্বে ছবিযুক্ত স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে, যেখানে ট্রান্সপোর্টের নাম, মোবাইল নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্র ও সংক্ষিপ্ত ঠিকানা উল্লেখ থাকিবে।
পরিশেষে আমি গাজীপুর জেলা ট্রান্সপোর্ট ঠিকাদার মালিক সমিতির উন্নতি সাধনে যোগ দেওয়ার জন্য সকল ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে হানাফী সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত করার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি, আমি সততার সাথে অত্র মালিক সমিতির কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি।