নিজস্ব প্রতিবেদক : ফরিদপুরে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গুলি করে বাসচালক শামসু মোল্লাকে (৬২) হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের ৪০০ নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে নিহত শামসু মোল্লার স্ত্রী মেঘলা বেগম (৩১) বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় এ মামলা করেন । কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, এ মামলার এজাহারে আসামি হিসেবে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে (ওবায়দুল কাদের) এ হত্যা মামলায় হুকুমের আসামি করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলায় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেক লীগ ও শ্রমিক লীগের অজ্ঞাতনামা তিনশ থেকে চারশ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাশার বলেন, সিসি টিভির ফুটেজ দেখে আসামি শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ হত্যা মামলার কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পর বিকেল ৫টা দিকে একদল মানুষ ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা ঘেরাও করতে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় থানা ঘেরাও করতে যাওয়া ব্যক্তিদের। পুলিশ টিয়ারশেল ও মুহুর্মুহু গুলি ছুড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিতে নিহত হন পথচারী শামসু। গুলিটি তার নাক ও ঠোঁটের মাঝ দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বের হয়ে যায়। এরপর তার মরদেহ থানার প্রধান ফটক থেকে আনুমানিক ৪০ মিটার দূরে পরে ছিল। শামসু শহরের পূর্ব খাবাসপুর মহল্লা এলাকার বাসিন্দা মৃত মোবারক মোল্লার ছেলে। শামসু-মেঘলা দম্পতির একমাত্র মেয়ে ছয় বছরের সাম্মি। সাম্মি স্থানীয় বায়তুল আমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। নিহত শামসু মোল্লা ফরিদপুরের করিম গ্রুপের মালিকানাধীন গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি বাসের চালক ছিলেন।