নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর-লুটপাট ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র ও সাবেক তিন সংসদ সদস্যসহ ৬৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহারে আওয়ামী লীগ-ওয়ার্কার্স পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের ২৩১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ আছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বোয়ালিয়া মডেল থানায় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টু বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আসামিদের মধ্যে অন্যতম হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সাবেক এমপি শফিকুর রহমান বাদশা, রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মীর ইকবাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মাদ আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইসতিয়াক আহমেদ লিমন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের রাজশাহী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র লিটনের মেয়ে আনিকা ফারিয়া জামান অর্ণা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি মরিরুজ্জামান খান মনি, সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর যুবলীগের সাবেক সভাপতি রমজান আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন বাচ্চু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর ইসলাম সিয়াম, সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া, চণ্ডিপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী জহিরুল ইসলাম রুবেল, পবা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ডাবলু প্রমুখ। এছাড়া, মামলায় সাবেক বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদেরও আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, হাসুয়া, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, জিআই পাইপ, আগ্নেয়াস্ত্র, ককটেল নিয়ে নগরীর মালোপাড়ায় বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালান। এ সময় কার্যালয়ের ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়াও তারা গুলিবর্ষণ ও ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকার জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। পরে তারা মামলার বাদীসহ বিএনপির নেতা কর্মীদের ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান। বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, মামলায় আওয়ামী লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টির ২৩১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৪০০ জনকে। এসআই সোহেল রানাকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।