★নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র-গোলাবারুদ থানায় জমা না দিলে মামলা
নিউজ ডেক্স : ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে। গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বার্তায় এ কথা জানানো হয়েছে। এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছিলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা করবে সরকার। গত ২৫ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ে পর্যন্ত যাদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাদের আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র–সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী অস্ত্র-গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শেষ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু হতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, দেশে এখন বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা কমবেশি ৫০ হাজার। এর মধ্যে ১০ হাজারের বেশি অস্ত্র রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের হাতে। তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। যাদের অনেকেই ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের সময়ে অস্ত্রের লাইসেন্স পেয়েছেন।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র-গোলাবারুদ থানায় জমা না দিলে মামলা: নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র-গোলাবারুদ থানায় জমা না দিলে আগামী বুধবার ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা ও অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষণ/হেফাজতকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরসহ আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-৪ শাখার উপ-সচিব মো: আরিফ-উজ-জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিত করা লাইসেন্সের অধীন থানায় জমা না করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী/সংস্থার বেহাত/হারানো অস্ত্রসহ যেকোনো অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনার নিমিত্ত নিম্নোক্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এতে জানানো হয়েছে, স্থগিতকৃত লাইসেন্সের তালিকা প্রণয়নপূর্বক সংশ্লিষ্ট লাইসেন্স গ্রহীতাকে এসএমএসের মাধ্যমে লাইসেন্স স্থগিত এবং স্থগিতকৃত লাইসেন্সের অনুকূলে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানায় জমা প্রদানের বিষয়টি অবহিতকরণ। এতে আরও বলা হয়েছে, বর্ণিত লাইসেন্স স্থগিত ও সংশ্লিষ্ট অস্ত্র-গোলাবারুদ থানায় জমা প্রদান এবং ৪ সেপ্টেম্বর হতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা ও অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষণ/হেফাজতকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরসহ আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ। এছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ ২ সেপ্টেম্বর পুলিশ সুপার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি এবং গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য সদস্যদের সমন্বয়ে কোর কমিটির সভা করবেন। সভায় স্থগিতকৃত লাইসেন্সের তালিকা পর্যালোচনা করবেন। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর হতে কার্যকর অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব, আনসার সমন্বয়ে যৌথ অপারেশন টিম গঠন করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এতে আরও বলা হয়েছে, মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ কমিশনারগণ সংশ্লিষ্ট সকল বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় আগামী ৪ সেপ্টেম্বর হতে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য যৌথ অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ কর্তৃক প্রণীত স্থগিতকৃত লাইসেন্সধারীদের তালিকা এবং নির্ধারিত তারিখ পর্যন্ত জমাকৃত অস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের তালিকা ৫ সেপ্টেম্বর মধ্যে এ বিভাগে প্রেরণ করবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ জাহাঙ্গীর আলম || বার্তা সম্পাদক: শাকিল মাহমুদ শান্ত || টঙ্গী দত্তপাড়া, জহির মার্কেট, টঙ্গী গাজীপুর ঢাকা। E-mail: editorgrambarta@gmail.com যোগাযোগ : ০১৯১১-২৪৫৮৯৫ | ০১৯১৩-৩৪৪৮১৭ | ০১৭৩১-৬১৬২১৫ | ০১৯৭২-৬১৬২১৫