• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম
জামায়াতে ইসলামী আদর্শ থেকে এক চুলও বিচ্যুত হয় না : কর্মী সমাবেশে-রুহুল আমীন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন : সভাপতি মাহমুদুল হাসান খান বাবু, সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ নাটোরে অবৈধভাবে আলু মজুদ করায় ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা ১৪ বছর পর চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে শিশুদের সুরক্ষা ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ অনলাইন তৃণমূল সাংবাদিক ফোরামের নতুন কমিটি গঠন : চেয়ারম্যান মনির ও মহাসচিব শাওন নাটোরে বিপুল পরিমাণ জাল নোট সহ পাঁচজন আটক চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র অভিযানে ৩০৬ গ্রাম ওজনের ভারতীয় তৈরীকৃত স্বর্ণের গহনা জব্দ   কুষ্টিয়া র‌্যাবের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামি আটক

৫ মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া

grambarta / ৩৫ ভিউ
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

ছবি সংগৃহীত 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভুয়া জন্মদিন পালন ও যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়াসহ পাঁচটি মানহানির মামলা খারিজ করে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পৃথক দুই বিচারক এই আদেশ দেন।
খালাস পাওয়া ৫ মামলার মধ্যে ৪টি মামলায় ঢাকার ৩ নম্বর অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এবং একটি মামলায় ঢাকার ৪ নম্বর অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ খারিজ আদেশ প্রদান করেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, মামলার বাদী একাধিক ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় এ খারিজ আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলাগুলোর মধ্যে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ভুয়া জন্ম দিনের মামলা দায়ের করেন। পরে ওই বছর ২৭ নভেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত।
মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে খালেদা জিয়ার ৫টি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি ৫টি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সাহাদাত বার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্ম দিন পালন করে আসছেন। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য তিনি ওইদিন জন্মদিন পালন করেন।
অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের মদদের মামলাটি ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী দায়ের করেন। ২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই বছর ১২ অক্টোবর সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। মামলায় বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে সামরিক সরকারের দায়িত্ব দখল করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসলে তাকে হুমকি তার বাবার বাড়িতে প্রবেশ করতে দেন নাই। এছাড়া খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে স্বাধীনতাবিরোধী আলবদর রাজাকারদের হাতে মন্ত্রিত্ব তুলে দেন। যার মাধ্যমে স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটিয়েছেন।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগের মানহানির মামলাটি ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের স্বাধীনতা চান নাই। তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীত্ব। জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ায় এদেশের জনগণ যুদ্ধে নেমেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়নের নামে চলছে দুর্নীতি ও লুটপাট। দলীয় লোকদের জঙ্গি বানিয়ে নিরীহ লোকজনকে হত্যা করছে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট ও হত্যা করছে। খালেদা জিয়ার উক্ত বক্তব্য মানহানিকর উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করা হয়।
আদালতে দাখিলকৃত পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলার অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন দৈনিকের প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং উক্ত অনুষ্ঠানের ধারণকৃত ভিডিও সিডি পর্যালোচনায় এবং সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামি খালেদা জিয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের সমালোচনা ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করাসহ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছেন।
মামলায় অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই রাজধানীর শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. জাফর আলী বিশ্বাস সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মানহানিকর মন্তব্যের অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির স্থায়ী কমেটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, তিনি তো (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ‘আজকে বলা হয়, এতো শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে। আর প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মানহানি ও হত্যার হুমকির মামলার অভিযোগ ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর কলঙ্কিত মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে সামরিক সরকারের দায়িত্ব দখল করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছেন। ১৯৮১ সালের ১৭ মে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসলে তাকে হুমকি তার বাবার বাড়িতে প্রবেশ করতে দেন নাই। এ ছাড়া খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করে স্বাধীনতাবিরোধী আলবদর রাজাকারদের হাতে মন্ত্রিত্ব তুলে দেয়। যার মাধ্যমে স্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়ীতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকা মানহানি ঘটিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর