নিজস্ব প্রতিবেদক : বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে নানাভাবে বঞ্চনায় শিকার হয়ে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে সরকার। সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত পাঁচ সদস্যের এ কমিটি ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত পদোন্নতিসহ নানা হেনস্তায় শিকার কর্মকর্তাদের সুযোগ সুবিধা দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ায় সুপারিশ করবেন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খানকে। এতে অর্থ বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবকে সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে। এছাড়া কমিটিতে আইন মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্মসচিবকে সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছে। কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কমিটি চাইলে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারবে বা এর আগেও কেস টু কেস প্রতিবেদন দিতে পারবে। এ উপলক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, আমিসহ প্রায় দুই হাজার ৫০০ কর্মকর্তা বিগত সরকারের নির্মম নির্যাতনে শিকার। মানসিক, সামাজিক, পারিবারিক এবং আর্থিকভাবে কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে। বর্তমান সরকারপ্রধান স্বেচ্ছায় ক্ষতিগ্রস্তদের বিষয়টি বিবেচনার জন্য কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। সে কারণে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জমা পড়া আবেদন এবং আরও যেসব আবেদন আসবে সেগুলো যাছাই বাছাই করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসন ক্যাডারের যারা বঞ্চনায় শিকার হয়েছেন তাদের বিষয়টি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় দেখবে। অন্যান্য ক্যাডারের বিষয়ে ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে। তিনি আরও বলেন, তারা নিয়মিত চাকরিত থাকলে যে সুযোগ সুবিধা পেতেন অনুরূপ সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। পদোন্নতিবঞ্চিত হওয়ার কারণে যারা আর্থিক সুবিধা কম পেয়েছেন, তাদের সেই সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে। সিনিয়র সচিব জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে বসে কমিটি কাজ করবে। কমিটিকে কারিগরি ও লজিস্টিক সহায়তা দেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এছাড়া সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের সদস্যরা প্রতিটি সভায় যে ধরনের সম্মানি পেয়ে থাকেন, এ কমিটির সদস্যগণও সমপরিমাণ সম্মানি পাবেন।