নিজস্ব প্রতিবেদক : আটকের পর রাতেই পরিবারের জিম্মায় সাংবাদিক মুন্নী সাহা সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে আটকের পর পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবার রাতে অসুস্থতাসহ নানা দিক বিবেচনায় জামিন নেওয়ার শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডিবি প্রধান রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, পুলিশ মুন্নি সাহাকে আটক করেনি। স্থানীয় জনতা আটক করলে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। একপর্যায়ে তাকে ডিবিতে আনার পর প্যানিক অ্যাটাক হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ কারণে ফৌজদারী কার্যবিধির ৪৯৭ ধারায় জামিন নেওয়ার শর্তে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। দেড়টা-দুইটার মধ্যেই প্রক্রিয়া শেষ হবে। সাংবাদিক মুন্নী সাহা এটিএন নিউজের শুরু থেকে টিভি চ্যানেলেটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২৩ সালের ৩১ মে এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ‘এক টাকার খবর’ নামের নতুন একটি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার পরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ‘এক টাকার খবরে’র অফিস থেকে বের হয়ে সবজি কিনতে যান মুন্নী সাহা। জনতা টাওয়ারের সামনে সবজি কেনার সময় জনতা ঘিরে ধরে। বেশ কিছুক্ষণ তাকে ঘিরে রাখা হয়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়। তাদের কাছ থেকে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয় মুন্নি সাহাকে। ওই সময় তার বিরুদ্ধে থাকা একাধিক মামলার মধ্যে যে কোনও একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হতে পারে বলে এমন কথা জানিয়েছিলেন তেজগাঁও থানার ওসি মোবারক হোসেন। এমনকি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে বলেও জানানো হয়। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় তার বাবা মো. কামরুল ইসলাম একটি মামলা করে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়। পাশাপাশি মুন্নি সাহাসহ সাতজন সাংবাদিককেও ওই মামলায় আসামি করা হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ জাহাঙ্গীর আলম || বার্তা সম্পাদক: শাকিল মাহমুদ শান্ত || টঙ্গী দত্তপাড়া, জহির মার্কেট, টঙ্গী গাজীপুর ঢাকা। E-mail: editorgrambarta@gmail.com যোগাযোগ : ০১৯১১-২৪৫৮৯৫ | ০১৯১৩-৩৪৪৮১৭ | ০১৭৩১-৬১৬২১৫ | ০১৯৭২-৬১৬২১৫