জাহাঙ্গীর আলম (টঙ্গী): শামসুন্নাহার ভূঁইয়া এমপি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার তৃণমূল পর্যায়ের মেহনতী শ্রমজীবী মানুষের আস্থার ভালবাসার অধিকার প্রতিষ্ঠার এক বলিষ্ঠ ত্যাগী কর্মী নাম। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে সততার সাথে নিষ্ঠার সাথে মেহনতি মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি স্বপ্ন দেখেন বৈষম্যহীন সমাজের তিনি স্বপ্ন দেখেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত জাতীয় সংসদ স্মরণ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সাধারন মানুষের জন্য সেবা করার আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছেন। তিনি বলেন আমি যতদিন বেঁচে আছি আমার রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোষহীন ভাবে লড়ে যাবো, তিনি বলেন আমি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে প্রার্থনা করছি, আমি যেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন সৈনিক হিসেবে আজীবন আমৃত্যু মানুষের পাশে থেকে মানুষের সেবা করে যেতে পারি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে এবারও সংসদ সদস্য হতে পারেন কেন্দ্র্রীয় মহিলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামসুন্নাহার ভূঁইয়া। দলীয় সূত্রে এমন আভাষ পাওয়া গেছে।
তিনি একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন-১৩ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার তিন বছর আগে থেকেই কিশোরী শামসুন নাহার ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত হন। সেটা ছিল ১৯৬৯ সাল। মেয়েদের লেখাপড়া শিক্ষায় সামাজিক নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে তখন তিনি গাজীপুরের জয়দেবপুর গার্লস স্কুলের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী, ছিলেন সমাজ সচেতন ও প্রতিবাদী। এই সময়ে তিনি পরিবার পরিজনের সাথে জয়দেবপুরের পশ্চিম ভুরুলিয়ায় পিত্রালয়ে বসবাস করতেন। তিনি ১৯৭৩ সালে জয়দেবপুর গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি পাস করেন। পরের বছর ১৯৭৪ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর স্বামী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ ভূঁইয়ার বাড়ি টঙ্গীর নোয়াগাঁও এলাকায়। কাজেই সেখানে থেকেই সংসার জীবনের পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিবেশে জীবনের চাকা ঘুরতে থাকে। এবং তিনি ১৯৭৫ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য পদ লাভ করেন। কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতির ধরন একটু ভিন্ন। এই দলের কর্মীদের সৎ ও নির্লোভ হয়ে কাজ করার জন্য হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে তিলে তিলে গড়ে তোলা হয়। এই শিক্ষা শামসুন নাহারকে সারাজীবন নির্লোভ থেকে মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকার প্রেরণা জোগায়। অর্ধশতাব্দীর অধিক সময় ধরে রাজনীতি করছেন তিনি। এই সময়ে তার কর্মকাণ্ডের ফিরিস্তি বেশ লম্বা। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমাজসেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। এর মধ্যে জাপান লেবার ফাউন্ডেশন (জিলাফ), আই.সিএফ.টি.ইউ-বি.সি, আইওএল, বিলস, ককাস উল্লেখযোগ্য। বিশেষ করে শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত করতে এবং তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের পক্ষে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন শামসুন নাহার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালের ২৯ মে অনুষ্ঠিত মহিলা শ্রমিক লীগের ১ম সম্মেলনের মাধ্যমে মহিলা শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শামসুন নাহার। এরপর ২০১৯ সালে মহিলা শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মাধ্যমে তাঁকে কার্যকরী সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এ বছরই বাংলাদেশ একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য-৩১৩, মহিলা আসন-১৩ নির্বাচিত হন।
এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য হিসেবে ২০১৮-১৯ অর্থ বছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত তাঁর নামে বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা, কাবিটা, টি অর সোলার, নন সোলার, ঐচ্ছিক, ক্রীড়া সামগ্রী সহ যাবতীয় সামগ্রী শত শত প্রকল্পের মাধ্যমে সঠিকভাবে বিতরণের প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়। এ কাজে সব সময় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে রেখেছেন নিজেকে। এসব বিতরণের সময় আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বক্তৃতায় খোলামেলাভাবে সবাইকে সব তথ্য অবগত করতেন। কত বরাদ্দ পেয়েছেন, কাকে বা কোন প্রতিষ্ঠানকে কি কাজের জন্য কত বরাদ্দ দেওয়া হলো এসব তথ্য প্রকাশ করতেন। সংবাদ কর্মীদেরও এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করতেন। যাতে তাঁর কাজের স্বচ্ছতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত না হয়। আগে পরে এবং একাদশ জাতীয় সংসদের মেয়াদকালে তাঁর বিরুদ্ধে কখনও কোন ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির অভিযোগ উঠেনি। সবসময় যেমন সাদামাটা আটপৌরে জীবনযাপন করতেন। সংসদ সদস্য হওয়ার পরও তেমনি ভাবেই চলেছেন। ক্ষমতার দাপট দেখানো কিংবা এর অপব্যবহার করতে দেখা যায়নি। সংসদ সদস্য হওয়ার পরও আগের মতোই সাদামাটা আটপৌরে জীবনযাপন করেছেন তিনি। যা তাঁকে সততা ও ন্যায়নিষ্ঠতার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করে। মানুষের সেবায় সবসময় কর্মব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা যায় এই রাজনীতিক ও নির্লোভ, সৎ নারী নেত্রীকে। তিনি ১৯৭৬ সালে টঙ্গী কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় পার্টির নির্দেশে নারী শ্রমিকদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে টঙ্গীস্থ এবি বিস্কুট কারখানায় একজন সাধারণ শ্রমিক হিসেবে কাজে যোগদান করেন শামসুন নাহার। এবং ঐ বিস্কুট কারখানায় শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। এসময় থেকেই তিনি সরাসরি ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হন এবং বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তাঁর স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ১৯৭৬ সালের মার্চে যেদিন বাসায় ফিরেন ঠিক সেদিনই তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং দীর্ঘ এক বছর তিনি কারারুদ্ধ ছিলেন। আব্দুর রশীদ ভুঁইয়া বিটিএমসি আওতাধীন মেঘনা টেক্সটাইলের সিবিএ নেতা ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায়ই তিনি চাকুরিচ্যুত হন। ’৭৫ পরবর্তী জিয়াউর রহমান ও এরশাদ সরকারের সময় শামসুন নাহার ও তাঁর স্বামী নানাভাবে নির্যাতন ও হয়রানির স্বীকার হন। ১৯৭৫ পরবর্তী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রথমে ৮দল ও পরে ১৫ দলের সাথে নিজ জেলার সক