নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ-ভারতের একটি আন্তঃসীমান্ত নদী মাথাভাঙ্গা নদী নদীটি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা এলাকায় নদীর গর্ভে একশ্রেণির অসাধু মৎস্যজীবীরা কারেন্টজাল ও কোমড় দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে। গাছের ডালপালা দিয়ে কোমড় তৈরি করে মাছ শিকারের ফলে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে স্রোত, যেখানেই স্রোত বাধাপ্রাপ্ত হয়, সেখানেই পড়ে পলিমাটি, এবং দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হচ্ছে। যে কারণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। এবিষয়ে প্রায় সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিছু পর আবারো শুরু হয় কোমড় বাধ। সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার পর মঙ্গলবার(২২ এপ্রিল) দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নির্দেশে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কে এইচ তাসফিকুর রহমান ও দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য অফিসারে ফারুক মহলদারের নেতৃত্বে উপজেলার বাস্তপুর ও সুবুলপুরে কোমর উচ্ছেদ করা হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা নদী বাচাঁও আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি বলেন, নদীতে মঙ্গলবার দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন সরজমিনে নদীতে গিয়ে বাঁধ, কোমড় ও কারেন্ট জাল অপসারন করে। এই উচ্ছেদ অভিযান চালানোর জন্য উপজেলা প্রশাসনে সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি আমাদের সকলকেই নদী বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে। এবিষয়ে দামুড়হুদা চুয়াডাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিসার কে এইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, মাথাভাঙ্গা নদীতে অবৈধ ভাবে বাধ, কোমড় ও কারেন্ট জাল দিয়ে নদীতে মাছ শিকার করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমাদের অভিযান দুইদিন পরপর অব্যাহত থাকবে। আমরা এলাকাবাসীকে জানিয়ে দিয়েছি দ্রুত সময়ের মধ্যে নদীতে কোমর ও বাঁধ সরিয়ে নিতে না নিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ জাহাঙ্গীর আলম || বার্তা সম্পাদক: শাকিল মাহমুদ শান্ত || টঙ্গী দত্তপাড়া, জহির মার্কেট, টঙ্গী গাজীপুর ঢাকা। E-mail: editorgrambarta@gmail.com যোগাযোগ : ০১৯১১-২৪৫৮৯৫ | ০১৯১৩-৩৪৪৮১৭ | ০১৭৩১-৬১৬২১৫ | ০১৯৭২-৬১৬২১৫