• বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম
পতিত আ.লীগের চাঁদাবাজ-দখলদাররা বিএনপিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে: আমিনুল হক আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে : আমিনুল হক গাজীপুরে দিনভর তিতাসের অভিযান : ২৫০ ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ২৫০ ফুট পাইপ জব্দ, ১ জনকে ২০ হাজার টাকা জরিমান মোহাম্মদপুর ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির ঈদ পূর্ণমিলনী ও আনন্দ ভ্রমণ অনুষ্ঠিত বিএনপি কখনোই মবকে প্রশ্রয় দেয় না : আমিনুল হক ১৭ বছরের আওয়ামী জুলুম ভুলে গেলে চলবে না : আমিনুল হক শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক নিয়ে যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় : কার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ালেন ডিসি আশরাফ, জানা গেল পরিচয় পলিথিন উৎপাদনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার : টাস্কফোর্স অভিযানে পলিথিন জব্দ, মালিকের ৩ মাসের কারাদণ্ড পল্লবীতে মুসলিম বাজার সমিতির মতবিনিময় সভায় আমিনুল হক: ক্ষতিগ্রস্তদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে দোকান দিতে হবে চুয়াডাঙ্গায় বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ পৌর যুবদল নেতা আটক

এম এ মান্নানের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়; পরিকল্পিত হত্যা

grambarta / ৯২ ভিউ
প্রকাশের সময় : সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : আমাদের মহা পুরুষ আমাদের মাঝ থেকে চলে গেলো। কিভাবে চলে গেলো? আসলে আমরা যদি বলি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে, এটি স্বাভাবিক কোন মৃত্যু নয়! অধ্যাপক মান্নান স্বরণে তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর স্মৃতিচারণ করতে গীয়ে এসব কথা বলেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির নেতারা।সোমবার (২৮এপ্রিল) বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর রাজবাড়ি সংলগ্ন বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত প্রয়াত বিএনপি নেতা এমএ মান্নান স্বরণে দোয়া মোনাজাত ও আলোচনার আয়োজন করা হয়। অধ্যাপক এমএ মান্নান স্বরণে দোয়া অনুষ্ঠানে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অধ্যাপক মান্নান পুত্র এম মঞ্জুরুল করিমসহ বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের উপস্থিত নেতৃবৃন্দরাও তাদের বক্তব্যে মান্নান স্বরণে বলেছেন, এটি (মান্নানের) স্বাভাবিক কোন মৃত্যু ছিলো না, তাদের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যা।বক্তব্যে এম মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন, সকলের পিতা স্কুলে নিয়ে যায়, আমার পিতা নিয়ে গীয়েছিলো কিনা আমার মনে নেই। অধ্যাপক এমএ মান্নানের বয়স যখন ৭০এর কাছাকাছি তখন তাকে কারাগারে নেয়া হয়েছিলো মিথ্যা মামলায়। আপনারা তাকে লক্ষাধিক ভোটে মেয়র নির্বাচিত করেছিলেন। গাজীপুরের সেই উন্নয়ন থেকে ফ্যাসিবাদ সরকার বঞ্চিত করার জন্য, তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে কারা বন্দি করে রেখেছিলো মিথ্যা মামলায়। তিনি বলেন, আপনারা টিভিতে দেখতেন, টিভিতে দেখাইতো আজকে অধ্যাপক এমএ মান্নান একটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। সন্ধ্যা বেলায় আমরা টিভি স্ক্রলে কি দেখতাম? তাকে আরো একটি মামলায় এরেস্ট দেখানো হয়েছে। এভাবে একের পর এক ৩৪-৪০টি মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে ৩বছর কারাবন্দী করে রাখা হয়েছিলো।উপস্থিতীদের উদ্দশ্যে রনি বলেন, আমরা কি দেখতে পেরেছি? শুধু এমএ মান্নান নয় বিএনপির অনেক সিনিয়র নেতাদের এভাবে মিথ্যে মামলা দিয়ে কারাগারা রাখা হতো। এমনকি আপনারা জানেন আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকেও মিথ্যে মামলা দিয়ে কারাগারে রেখে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র এই ফ্যাসিবাদ সরকার করেছিল। শেষবার যখন এমএ মান্নান কারা মুক্ত হয়েছিলো তখন আর তিনি স্বাভাবিক জীবণযাপন করতে পারেননি। মঞ্জুরুল করিম বলেন, কারাগারে থাকাবস্থায় তার দুইবার হার্ট এ্যাটাক হয়েছে। তারপর এসে তাকে বাইপাস অপারেশন করতে হয়েছে। ইনফেকশন হয়েছে। কারাগারে সুচিকিৎসার অভাবে তিনি মৃত্যুট কূলে ঢলে পড়েছেন। এভাবেই এই খুনী হাসিনার সরকার যাদেরকে (আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীদের) তারা খুন করেছে, গুম করেছে, হত্যা করেছে, গুলি করেছে। যে সিনিয়র নেতাদের গুলি করতে পারতো না তাদেরকে এভাবে সু-পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে। মহানগর বিএনপির সম্পাদক বলেন, সেটা (মান্নানের মৃত্যু) কোন সাধারণ মৃত্যু ছিলোনা, সেটা ছিলো হত্যা। আজকে এই হত্যাকারীদের বিচার আমরা কিভাবে করবো? এ প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের নেতা বলেছেন আমাদের সংগ্রাম এখনো শেষ হয় নাই। বিএনপি কিন্তু এখনো রাস্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে আসেনাই। আমাদের ধানের শীশকে বিজয়ী করতে হবে আগামী নির্বাচনে। ধানের শীষকে বিজয়ী করার মাধ্যমে আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যার বিচার আমরা করতে পারবো। প্রধান অতিথীর বক্তব্য গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার বলেন , গত ফ্যাসিস্ট যে সরকার ছিলো, তাদের একটা অপকৌশল ছিলো কাওকে আয়না ঘড়ে রাখা হবে, কাওকে গুম করা হবে, কাওকে জেল খানায় রেখে বারবার জেল থেকে বের হবে আবার তাকে নিয়ে ঢুঁকাবে এমনি করে ৩টি বছর পার করে দিয়ে যখন দেখা গেছে অধ্যাপক মান্নান বাসায় থাকলেও মৃত্যুবরণ করবে তখন আর তার নামে কোন মিথ্যা মামলা দেয়া হয় নাই। এমন একটা পর্যায় হলো যে তিনি চিকিৎসার বাহিরে চলে গেছেন। তাকে সেই পর্যায়ে নিয়ে গেছে সেই ফ্যাসিস্ট সরকার। এটা ছিলো তাদের অপকৌশল। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার অপকৌশলের প্রতিফল তারা আজ ভোগ করছে। দেশের মাটিতে তাদের আজ দেখা যায় না। আমরা শুনি মাঝে মধ্যে তারা (প্রেতাত্মারা) মাঝে মধ্যে উঁকি দেয় জানান দেয়। নেতাকর্মীদের তাদের দমানোর নির্দেশ দেন বিএনপির এই নেতা শওকত হোসেন সরকার।মেহেদি হাসান এলিস বলেন, অধ্যাপক এম এ মান্নানের নেতৃত্ব আন্দোলন সংগ্রামে লড়াই করেছি। তার সঙ্গে পথচলা মানে সাহসের সঙ্গে পথচলা বলেও জানান তিনি। বাবার মতোই উন্নয়নের কাণ্ডারী হিসেবে অধ্যাপক এম এ মান্নানের মতো গাজীপুরের মানুষের কাছে মাটি ও মানুষের নেতা হবেন বলে বিশ্বাস করেন এলাবাসী।

এছাড়া অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, অধ্যাপক মান্নানকে নিয়ে এতো অল্প সময়ে তার ব্যাপ্তি বলা সম্ভব না, এসময় তার প্রশ্নতোলেন,কেন সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েও তিনি কাজ করতে পারলেন না এর পেছনে কাদের হাত রয়েছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনার দাবী জানান। তার নামে গাজীপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নাম করনের দাবি জানান। এছাড়াও তার মতো নির্যাতিত নেতাকে কারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। গাজীপুর সদর মেট্রো বিএনপি আয়োজিত স্মরণ সভায় অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিসের সভাপতিত্বে মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকার, মহানগর সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম রনি, মীর হালিমুজ্জামান ননিসহ নেতারা বক্তব্য রাখেন। এসময় গাজীপুর মহানগর বিএনপিও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর