নিজস্ব প্রতিবেদক : সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমৃদ্ধ ক্রীড়াঙ্গনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আজ তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের ক্রীড়াঙ্গন সমৃদ্ধ ও সম্প্রসারিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে প্রচণ্ড ক্রীড়ানুরাগী।
মূলত ক্রীড়া পরিবারের সন্তান বলেই খেলাধুলার প্রতি তার দুর্বলতা বেশি। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শরীয়তপুরের সখিপুর থানার চরসেসনাস ইউনিয়নের তারাবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসএসসি ব্যাচ-২০২০ আয়োজিত বালার বাজার টি-১০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এনামুল হক শামীম বলেন, বিশ্বের বুকে আমাদের গৌরবের একটি বড় স্থান করে দিয়েছেন দেশের ক্রীড়াবিদরা। ক্রীড়াঙ্গনে সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনেও বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিয়মিতভাবে ক্রীড়ায় পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার ক্রীড়াবান্ধব। যখনই ক্ষমতায় এসেছে, দেশের ক্রীড়া চর্চায় গৃহীত উদ্যোগে এ খাত হয়েছে বেগবান। স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছরে ক্রীড়াক্ষেত্রে বিভিন্ন খেলায় সামান্য অর্জন, ঘরোয়া ক্রীড়াঙ্গনে নতুন নতুন আধুনিক ক্রীড়াকাঠামো নির্মাণ, সবার খেলার সুযোগ সৃষ্টির জন্য উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের পাশাপাশি বিদেশে বিভিন্ন খেলার আন্তর্জাতিক গেমস টুর্নামেন্ট ও চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের সবচেয়ে বেশি সুযোগ মিলেছে। খেলোয়াড়দের স্বাবলম্বী এবং তাদের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন সার্ভিস দল, সরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ ক্রীড়াবিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। আওয়ামী লীগের এই সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, নানা চক্রান্ত ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে ক্ষমতায় এসেছে। আর পঞ্চম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশ্বে বিরল রেকর্ড করেছেন। টূনামেন্টে বালার বাজার ইয়াং স্টার ক্রিকেট একাদশ বিজয়ী হয় এবং বালার বাজার ওয়ান্ডার্স ক্লাব রানারআপ হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এমএ কাইয়ুম পাইক, সখিপুর থানা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার, সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বালা, সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জিতু মিয়া বেপারী, সহ-সভাপতি ও চরসেনসাস ইউপি চেয়ারম্যান বিএম আনোয়ার হোসেন, সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফরিদ আহম্মেদ মাল প্রমূখ। এই টূনামেন্ট উপভোগ করতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ মাঠের চারপাশ কানায় কানায় পরিপূর্ণ করে।