• সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৫:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
কাউন্সিলর পদপ্রার্থী’র সুনাম ক্ষুন্ন করার অভিযোগ জাহিদের বিরুদ্ধে : থানায় লিখিত অভিযোগ   জীবননগরে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ টঙ্গীতে শ্রমিক নেতা মরহুম আব্দুল জলিলের স্মরণে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত টঙ্গীতে ঝুট নামানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু’গ্রুপে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ জনগণের মতামত নিয়েই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে চায় বিএনপি : আমিনুল হক সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে টঙ্গীতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত রূপনগরে বিএনপির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি: ২০ হাজার নিমগাছ রোপণের উদ্যোগ ঘোষণা আমিনুল হকের বিএনপি চায় মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে-আমিনুল হক যৌথ অভিযানে এসআই সুকান্ত আলমডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার টঙ্গীতে বিএনপি ও তাঁতিদল নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

জীবননগরে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ

grambarta / ১০ ভিউ
প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
Oplus_16777216

জীবননগর প্রতিনিধি  : জীবননগর হাসাদাহ ইউনিয়নের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী পরিবার। জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের আন্দুলবাড়ীয়া-হাসাদাহ রোড সংলগ্ন মারকাজুল উলূম বালিহূদা মাদ্রাসা পড়ুয়া ১১ বছরের ছাত্রকে ঘুমন্ত অবস্থায় জোরপূর্বক বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে জিল্লুর রহমান (৩২) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রের বাবা ও ভাই প্রতিবাদ করলে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ওই মাদ্রাসার পরিচালক জুবায়ের খান উল্টো ভুক্তভোগী পরিবারের বিরুদ্ধে জীবনর থানায় অভিযোগ করে। মঙ্গলবার (২৪ জুন)জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বালিহুদা মারকাজুল উলুম বালিহুদা মাদ্রাসায় এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক জিল্লুর রহমান মাগুরা জেলার শালিকা থানার হাসখালি গ্রামের জলিল মোল্লার পুত্র। তিনি দুই বছর যাবত এ মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করছেন। আর এ বিষয়ে ওই ছাত্র বলেন, অন্যান্য দিনের মতো গত মঙ্গলবার ( ২৪ জুন) রাতে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। পরবর্তীতে অনেক রাত্রে মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষক জিল্লুর রহমান অনেক রাতে আমার কাছে এসে প্যান্ট খোলে এবং মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। এর পর ওই শিক্ষক কাউকে কোন কিছু বললে আমাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এরপর আমি পরের দিন বুধবার (২৫ জুন) কৌশলে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে আসি এবং আমার বাবা মা ও ভাই কে বিষয়টি জানায়। আর এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রের বড় ভাই বলেন, আমার ভাইয়ের কাছ থেকে ঘটনাটি শোনা মাত্রই আমি ওই মাদ্রাসার পরিচালক জুবায়ের খান কে ফোন দিই এবং ঘটনাটি খুলে বলি। তিনি আমাকে বিষয়টি বিচারের আশ্বাস দিয়ে চুপ করে বসে থাকে। এরপর ঘটনা তিন দিন পর তার সাথে দেখা করলে তিনি আমাকে বলে তার ভাইয়ের বইপত্র ও জামা কাপড় মাদ্রাসা থেকে নিয়ে যেতে। এ মাদ্রাসায় তার পড়াশোনার আর সুযোগ নেই। তারপর আমি বাসায় চলে আসলে আমার পরিবারের নিকট জানালে আমার আত্মীয়-স্বজনসহ শুক্রবার (২৭ জুন ) ওই মাদ্রাসায় উপস্থিত হয় সেই সাথে অভিযুক্ত শিক্ষক এবং পরিচালককের সাথে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। তারপর স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে আমরা বাসায় চলে আসি। পরের দিন শনিবার (২৮ জুন ) আমরা জানতে পারি মাদ্রাসার পরিচালক জুবায়ের খান আমাদের উপর উল্টো মাদ্রাসা ভাঙচুর এবং দুই লক্ষ টাকা লুটপাটের কথা বলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে। যেটি আমাদের উপর সম্পূর্ণ অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। এছাড়া তিনি বলেন আমরা আইনগত ব্যবস্থা শীঘ্রই গ্রহণ করবো। আর এ বিষয়ে মাদ্রাসার পরিচালক জুবায়ের খান বলেন, এটি একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাজানো ঘটনা। আমার মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট করার জন্য কুচক্রী মহল কাজ করছে। ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থী মাদ্রাসার পড়াশোনার চাপ নিতে পারছে না বলেই সে এরকম অভিযোগ করে। এছাড়াও ওই শিক্ষার্থীর এর আগেও মাদ্রাসা থেকে কয়েকবার পালিয়ে গিয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষক জিল্লুর রহমানের সাথে কথা বলে তিনি জানান, এই মাদ্রাসায় ৩০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। তারা একসাথে রাত্রে ঘুমায়। আমি যদি এমন কাজ করি তাহলে কেউ না কেউ এই শব্দটি শুনতো। তাছাড়া আমি এই মাদ্রাসায় দুই বছর সুনামের সাথে শিক্ষকতা করছি। আমার উপরে এ ধরনের অভিযোগ কেউ দিতে পারবে না। আমি এ ধরনের অপবাদে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে জীবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, মাদ্রাসার পরিচালক জুবায়ের খান বাদী হয়ে মাদ্রাসা ভাঙচুর এবং ২ লক্ষ টাকা লুটপাটের বিষয় নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় অপরদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ হতে এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এছাড়াও বিষয়টি তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর