জাহাঙ্গীর আলম : আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারী) আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। মোনাজাত পরিচালনা করেন ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর বড় ছেলে মাওলানা ইউছুফ বিন সাদ। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) ১১ টা ১৭ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ১১ টা ৪৩ মিনিটে শেষ হয়। ২৬ মিনিট পর্যন্ত চলেছে এবারের আখেরি মোনাজাত। মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালের নাজাত এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য দোয়া করা হয়। এছাড়া সব ধরনের গুনাহ থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। আখেরি মোনাজাতে নিজের আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দরবারে সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লি প্রার্থনা করেন। ২৬ মিনিট স্থায়ী এই মোনাজাতে দুই হাত ওপরে তুলে লাখ লাখ মুসল্লি বারবার বলছিলেন, আমিন আমিন। মোনাজাতের সময় পুরো টঙ্গী এলাকা ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। তারা সবাই ইহলোকের মঙ্গল ও পরলোকের ক্ষমা প্রার্থনা করে সুখ ও সমৃদ্ধি চেয়েছেন। রোববার ফজরের নামাজের পর থেকেই শুরু হয় হেদায়েতি বয়ান। হেদায়েতি বয়ান করেন মুফতি মাকসুদ সাহেব (ভারত) বাংলা তরজমা-মাওলানা আব্দুল্লাহ সাহেব বয়ানের পরেই হেদায়েতের কথা ও দোয়া -মাওলানা ইউসুফ বিন সাদ সাহেব (ভারত) বাংলা তরজমা- মাওলানা মনির বিন ইউসুফ সাহেব, হেদায়েতের বয়ান শেষ হওয়ার পরে বাংলাদেশের সুরা ফয়সাল সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম সাহেব ১ মিনিট ১০ সেকেন্ড গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন, বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানান, আজ যদি মাওলানা সাদ সাহেব এখানে আসতেন তাহলে এই দোয়া সে করতেন আমাদের এই পুরা মজমা এই ব্যথা দীলে রেখে এস্তেমা শেষ করলাম, আমরা সকলে খুব বেশি দোয়া করব যাতে মাওলানা সাদ সাহেব খুব দ্রুত বাংলাদেশে আসতে পারেন, তখন পুরো মজামাকে দোয়া করার জন্য ওয়াদা করান এবং যারা বিরোধিতা করে মাওলানা সাদ সাহেবের আসার বিষয় তাদের কেও মাওলানা সাদ সাহেব আসার বিষয় বাধা ও বিরোধিতা না করার আহ্বান জানান এবং সহযোগিতা করতে বলেন যাতে মাওলানা সাদ সাহেব আসতে পারে। এবং ইজতেমা সফল করতে যারা মেহনত করছেন সরকার ও সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইজতেমায় সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানান । বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিতে দেশ বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি এসেছেন ইজতেমা ময়দানে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা এখানে অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগি করেছেন। এদিকে ইজতেমা ময়দানের মুসল্লিদের যাতায়াত সহজ করতে দ্বিতীয় পর্বের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাতকে কেন্দ্র করে জরুরি প্রয়োজনীয় গাড়ি যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, গণমাধ্যমকর্মী বা বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছিলো।