নিজস্ব প্রতিবেদক : ২২৫০ জন যাত্রী নিয়ে দর্শনা থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে মেদিনীপুরের বিশেষ ট্রেন। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় সকল নিয়ম মেনে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে বার্ষিক ওরশ শরীফ এর উদ্দেশ্যে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ট্রেনটি বুধবার রাত সাড়ে ১০ টায় রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে এসে রাত ১২ টা ১০ মিনিটে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে ষ্টেশনে পৌছানোর পর ইমিগ্রেশনে কাগজপত্র চেকিং করে সরকারি সকল নিয়ম কানুন মেনে সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় দর্শনা ষ্টেশন থেকে ভারতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সুত্রে জানাগেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এবারওভারতের পশ্চিমবঙ্গ মেদিনীপুরের জোড়া মসজিদে বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে রাজবাড়ী থেকে যাচ্ছে বিশেষ ট্রেন। ১২৩ তম এ ওরশ শরীফে বাংলাদেশ থেকে দুই হাজার ২৫০ জন ভক্ত। এদের মধ্যে ১৩১২ জন পুরুষ ৮৫৮ জন মহিলা ও ৮০ জন শিশু মোট ২২৫০ জন । ভারত থেকে আসা ২৪ বগির বিশেষ একটি ট্রেন যাত্রীদের নিয়ে বুধবার রাত ১০ টায় মেদিনীপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বলে জানান রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত। রাজবাড়ী আঞ্জুমান-ই-কাদেরীয়ার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ কাদেরী বলেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি রাতে মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রা.) এর বংশধর হযরত আল বাগদাদী আল মেদিনীপুরী (আ.) মশহুর নাম ‘মওলাপাক’ এর পবিত্র ওরশ অনুষ্ঠিত হবে। শত বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ওরশ উৎসবকে নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশেষ এই ট্রেনটি দুটি দেশের সেতুবন্ধন এবং সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে। বাংলাদেশ ও ভারত সরকার যৌথভাবে ১৯০২ সাল থেকে এই ওরশকে ঘিরে এ ট্রেনটি চলাচলের ব্যবস্থা করে আসছে। তিনি বলেন, বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানীর বংশধরদের নৈকট্য লাভ, তাদের এক নজর দেখতে ও পূণ্য লাভের আশায় প্রতিবছর এই দিনে মেদিনীপুরে যান ভক্তরা। ওই ওরশের সঙ্গে মিল রেখে একইদিন রাজবাড়ীর বড় মসজিদ খানকা শরীফে নানা আনুষ্ঠানিকতা হয়। পীরের ভক্তরা এতে যোগ দেন। ওরশে যোগদানের জন্য ভারত সরকারের সুপারিশ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ভারতীয় দূতাবাস বিশেষভাবে ভিসা দিয়ে থাকেন বলে জানান আজিজ কাদেরী। স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, দুপুরে ভারত থেকে ২৪ বগির ট্রেনটি রাজবাড়ী এসে পৌঁছায়। যাত্রীরা যাতে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে এজন্য রেল কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। ট্রেনের ভেতরে যেন কোনো বিঘ্ন না ঘটে সে জন্য গার্ড, ইলেকট্রিশিয়ান, অ্যাটেনটেন্ড নিয়োগ দেওয়া হয়েছে; ওরশ শেষে ১৯ ফেব্রুয়ারি একই ট্রেনে যাত্রীরা ফিরবেন বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে দর্শনা আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আতিক হাসান জানান যাত্রীদের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যাবস্থা করা হয়েছে। এবং বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। এবং প্রত্যক যাত্রীর বৈধ পাসপোর্ট আছে কিনা সব চেকিং করে ছাড়া হবে। দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে ষ্টেশনের ইনচার্জ সুপারিন্টেন্ডেন্ট মির্জা কামরুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় ২২৫০ জন যাত্রী নিয়ে সকল নিয়ম মেনে বিশেষ ট্রেনটি ভারতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তবে ২২৫২ জনের ইমিগ্রেশন করা হলেও ২২৫০ যাত্রী ভারতে গমন করেন। ২ জন যাত্রীর ইমিগ্রেশন হলেও হইতো অসুস্থতার কারণে যেতে পারিনি।