নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের চেয়ারম্যান ডেনিস ফ্রান্সিস চীন সফর করেছেন এবং চায়না মিডিয়া গ্রুপ সিএমজিকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, চীনের সংস্কারগুলো অনেক সফল হয়েছে এবং এটি অবকাঠামো নির্মাণ, দারিদ্র্যমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিক্ষার মতো অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ স্তরের উন্নয়ন অর্জন করেছে। এগুলো হল জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম বিষয়। নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে চীন এই অর্জনগুলো অর্জন করেছে তা প্রত্যক্ষ করা আনন্দদায়ক এবং অনুপ্রেরণাদায়ক। এসব অর্জন বিভিন্ন দেশের জন্য শিক্ষণীয় বলে মূল্যায়ন করেন ফ্রান্সিস। সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সিস উল্লেখ করেন যে, আধুনিকায়নের পথে চীনের অভিজ্ঞতাগুলো অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য শিক্ষনীয়। চীন উন্নত অবকাঠামো নির্মাণে দারুণ সাফল্য অর্জন করেছে এবং একটি শক্তিশালী অবকাঠামো নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে, যা টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে জোরদার করেছে। এটি এমন একটি ক্ষেত্র যেখানে চীন তার অনেক সফল অভিজ্ঞতা উন্নয়নশীল দেশ এবং বিশ্বের দক্ষিণের দেশগুলোর সাথে ভাগ করে নিতে পারে। শিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তা উল্লেখযোগ্য। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার কেন্দ্রে শিক্ষা ও অগ্রগতি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। তবে চীন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। যে বিষয়টি তাকে মুগ্ধ করে তা হল চীনের স্কুলগামী শিক্ষার্থীর প্রায় অর্ধেকই মেয়ে। বিশ্বের অনেক জায়গায়, মেয়েদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ নেই, যা সমাজের স্থিতিশীলতা, কার্যকারিতা এবং সুস্থতার জন্য দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি বয়ে আনে। চীনে এমনটা হয় না। সাম্প্রতিক গাজা পরিস্থিতি সম্বন্ধে ফ্রান্সিস বলেন, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধে বহু মানুষ ও শিশু মারা গেছে। কয়েক বছর ধরে, চীন বহুপক্ষবাদ এবং জাতিসংঘে সক্রিয় অবদান রেখেছে। চীনের ঐতিহ্যবাসী বসন্ত উৎসব উপলক্ষ্যে ফ্রান্সিস বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘ বসন্ত উৎসবকে জাতিসংঘের ছুটি হিসেবে নির্ধারণ করেছে। চীনা নববর্ষ বিশ্বের কাছেও অর্থবহ। চীন বিশাল জনসংখ্যার দেশ হিসেবে, বিশ্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়া এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে কথা বলায়, চীনের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হওয়া সম্পূর্ণ যুক্তিযুক্ত। তিনি চীনের অর্জনে গর্বিত। তিনি চীনা সরকার এবং জনগণকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।