• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রার ও স্ট্যাম্প ভেন্ডার কল্যাণ সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন : সভাপতি জাহাঙ্গীর সম্পাদক বকুল সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন বড়াইগ্রামে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আহত ১০ শিবগঞ্জে সম্পত্তি আত্মসাৎ ও গাজলু (ভারসাম্যহীন) গুমের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কিরনের বিচারের দাবিতে টঙ্গীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া দর্শনায় আখরোপন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও পরিস্কার -পরিচ্ছন্ন আখ সরবরাহ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  তারা যেন আবেগের বশে জাতির প্রত্যাশার বাইরে কাজ না করে, চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতের আমির চুয়াডাঙ্গায় বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিলসহ জামাই-শাশুড়ি আটক ধর্ষণ মামলা তুলে না নেয়ায় বাদীকে হত্যার চেষ্টা,  নিরাত্তাহীনতায় ভুক্তভোগী

অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করে আ’লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা

grambarta / ১৪ ভিউ
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

টঙ্গী(গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী সিরাজউদ্দন সরকার বিদ্যানিকেতন এণ্ড কলেজের অধ্যক্ষকে প্রতিষ্ঠানটির কথিত সাবেক ছাত্রদের দিয়ে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করে তদস্থলে আওয়ামী লীগ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পেশাদার শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

সাধারণ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, স্থানীয় কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতা দীর্ঘ দিন যাবত প্রাতষ্ঠানটি থেকে অবৈধ উপায়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. ওয়াদুদুর রহমানের সচেতন ভূমিকার কারণে তারা সফল হয়নি। ফলে তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানকে সরিয়ে তদস্থলে দলীয় অনুগত শিক্ষক স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এই ষড়যন্ত্রে ক্রীড়নকের ভূমিকায় ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান। তিনি টঙ্গীর ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব। অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানের বিরুদ্ধে তাদের সকল ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ ইতিপূর্বে কর্তৃপক্ষের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ফলে এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বহিরাগত কথিত ছাত্রদের দিয়ে অযৌক্তিক অভিযোগে অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। বর্তমানে অননুমোদীতভাবেই অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন আলোচিত বিতর্কিত সহকারী প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান। অথচ ইতিপূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিদর্শন ও নিরীক্ষায় মুজিবুর রহমানের সহকারী শিক্ষক পদে ও পরবর্তীতে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে অবৈধভাবে নিয়োগের প্রমাণ পায়। ওই প্রতিবেদনে মুজিবুর রহমানের গৃহীত সমুদয় সরকারি বেতন ভাতা ফেরতযোগ্য বলেও সুপারিশ করা হয়। যার স্মারক নং- ডিআইএ/গাজীপুর/২২১২-এস/ঢাকা ২৪৯৪/৪, তারিখ -১৯/০২/২০১৩ ইং। সহকারী শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যার নিয়োগ প্রক্রিয়াই বৈধ নয় তিনি আবার একইভাবে অবৈধ প্রক্রিয়ায় অধ্যক্ষ পদে আসীন হওয়ারও চেষ্টা করছেন। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমান বলেন, ২০০৮ সাল থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলে আসছে। স্থানীয় স্বার্থান্বেষী একটি মহল আমার কারণে প্রতিষ্ঠানটি লুটপাটের সুযোগ না পেয়ে এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারাই বহিরাগত কথিত ছাত্রদের দিয়ে গত ১৯ আগস্ট আমাকে অফিসকক্ষে অবরুদ্ধ করে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করেছে। আমি অন্যায় ও বৈষম্যের শিকার। এদিকে এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক মুজিবর রহমান বলেন, আমি কোন ষড়যন্ত্রে জড়িত নই। বরং আমার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অধ্যক্ষকে অপসারণে আমার কোন ভূমিকা ছিল না। এটি ক্ষুব্দ সাধারণ ছাত্রদের কাজ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর