• বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম
আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে : আমিনুল হক গাজীপুরে দিনভর তিতাসের অভিযান : ২৫০ ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ২৫০ ফুট পাইপ জব্দ, ১ জনকে ২০ হাজার টাকা জরিমান মোহাম্মদপুর ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির ঈদ পূর্ণমিলনী ও আনন্দ ভ্রমণ অনুষ্ঠিত বিএনপি কখনোই মবকে প্রশ্রয় দেয় না : আমিনুল হক ১৭ বছরের আওয়ামী জুলুম ভুলে গেলে চলবে না : আমিনুল হক শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক নিয়ে যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় : কার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ালেন ডিসি আশরাফ, জানা গেল পরিচয় পলিথিন উৎপাদনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার : টাস্কফোর্স অভিযানে পলিথিন জব্দ, মালিকের ৩ মাসের কারাদণ্ড পল্লবীতে মুসলিম বাজার সমিতির মতবিনিময় সভায় আমিনুল হক: ক্ষতিগ্রস্তদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে দোকান দিতে হবে চুয়াডাঙ্গায় বিদেশি পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্রসহ পৌর যুবদল নেতা আটক দর্শনা থানা পুলিশের মাদকবিরোধে অভিযান : ৫৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ নারী মাদক কারবারি আটক

অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করে আ’লীগ নেতাকে স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা

grambarta / ১৪৭ ভিউ
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

টঙ্গী(গাজীপুর) প্রতিনিধি: গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী সিরাজউদ্দন সরকার বিদ্যানিকেতন এণ্ড কলেজের অধ্যক্ষকে প্রতিষ্ঠানটির কথিত সাবেক ছাত্রদের দিয়ে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করে তদস্থলে আওয়ামী লীগ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পেশাদার শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে।

সাধারণ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, স্থানীয় কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতা দীর্ঘ দিন যাবত প্রাতষ্ঠানটি থেকে অবৈধ উপায়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মো. ওয়াদুদুর রহমানের সচেতন ভূমিকার কারণে তারা সফল হয়নি। ফলে তারা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানকে সরিয়ে তদস্থলে দলীয় অনুগত শিক্ষক স্থলাভিষিক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। এই ষড়যন্ত্রে ক্রীড়নকের ভূমিকায় ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মজিবুর রহমান। তিনি টঙ্গীর ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব। অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমানের বিরুদ্ধে তাদের সকল ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ ইতিপূর্বে কর্তৃপক্ষের তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়। ফলে এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বহিরাগত কথিত ছাত্রদের দিয়ে অযৌক্তিক অভিযোগে অধ্যক্ষকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। বর্তমানে অননুমোদীতভাবেই অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন আলোচিত বিতর্কিত সহকারী প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান। অথচ ইতিপূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিদর্শন ও নিরীক্ষায় মুজিবুর রহমানের সহকারী শিক্ষক পদে ও পরবর্তীতে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে অবৈধভাবে নিয়োগের প্রমাণ পায়। ওই প্রতিবেদনে মুজিবুর রহমানের গৃহীত সমুদয় সরকারি বেতন ভাতা ফেরতযোগ্য বলেও সুপারিশ করা হয়। যার স্মারক নং- ডিআইএ/গাজীপুর/২২১২-এস/ঢাকা ২৪৯৪/৪, তারিখ -১৯/০২/২০১৩ ইং। সহকারী শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যার নিয়োগ প্রক্রিয়াই বৈধ নয় তিনি আবার একইভাবে অবৈধ প্রক্রিয়ায় অধ্যক্ষ পদে আসীন হওয়ারও চেষ্টা করছেন। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে অধ্যক্ষ ওয়াদুদুর রহমান বলেন, ২০০৮ সাল থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চলে আসছে। স্থানীয় স্বার্থান্বেষী একটি মহল আমার কারণে প্রতিষ্ঠানটি লুটপাটের সুযোগ না পেয়ে এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারাই বহিরাগত কথিত ছাত্রদের দিয়ে গত ১৯ আগস্ট আমাকে অফিসকক্ষে অবরুদ্ধ করে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করেছে। আমি অন্যায় ও বৈষম্যের শিকার। এদিকে এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সহকারী প্রধান শিক্ষক মুজিবর রহমান বলেন, আমি কোন ষড়যন্ত্রে জড়িত নই। বরং আমার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্র হচ্ছে। অধ্যক্ষকে অপসারণে আমার কোন ভূমিকা ছিল না। এটি ক্ষুব্দ সাধারণ ছাত্রদের কাজ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর