নিউজ ডেক্স : কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাজারে বেলা ১১টার দিকে কয়েকশ দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দিকে একটি মিছিল নিয়ে যায়। ইউনিয়ন পরিষদের প্রবেশ পথে আসলে ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলামের গ্রুপের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় তারা কয়েকটি ককলেট বিস্ফোরণ ঘটায়। ভাঙচুর করা হয় আলিফ সুইটস নামে একটি দোকান। বাঙ্গড্ডা ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম বলেন, কাদবা গ্রামের প্রবাসি কামাল হোসেন মজুমদার বাঙ্গড্ডায় একটি প্রোগ্রামের কথা বলে সদর দক্ষিণ, লালমাই, লাকসাম, নরপাটিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এনে দেশীয় অস্ত্র ও একটি মিছিল নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মালামাল লুটপাট ও ভাঙচুর করার উদ্যেশ্য আসলে স্থানীয়রা মাইকিং করে সাধারণ জনগণ এক হয়ে তাদের প্রতিহত করে। এসময় তারা একটি দোকান ঘর ভাঙচুর করে। উপজেলা বিএনপির সাবেক নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কাদবা গ্রামের কামাল হোসেন মজুমদার বলেন, হামলার বিষয়ে আমি অবগত নই। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জেনেছি। পরে খবর পেয়ে জানতে পারি, সাইফুল চেয়ারম্যান ইউপি কার্যালয়ে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসা, ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু ব্যবসা, ১৯ টি গ্রামে চাঁদাবাজি করতো। তাই স্থানীয়রা তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে মিছিল বের করলে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন দিয়ে জনতার উপর হামলা চালায়। এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি ফজলুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে দুই গ্রুপের লোকজন পালিয়ে যায়। তবে এই ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি।