নিজস্ব প্রতিবেদক : শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছেন পুরুষ-২৯ ও নারী-০৪জনসহ সর্বমোট ৩৩জন তরুণ-তরুণী। নিয়োগের সকল প্রক্রিয়া মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করা হবে মর্মে চাকরী প্রত্যাশীদের বারবার সচেতন করা হয়। নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা চাকরী প্রত্যাশীদের প্রতারক/দালালদের শরণাপন্ন না হওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলায় ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে গত ২৯ অক্টোবর ২০২৪ সকাল ০৮:০০ ঘটিকা হতে নিয়োগ কমিটি ১ম ধাপে চাকুরী প্রার্থীদের মধ্য থেকে Physical Endurance Test (PET) কাগজপত্র যাচাই-বাছাই, শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা ও আনুষঙ্গিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ৫২৫জন প্রার্থীকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত করেন। গত ১৭ নভেম্বর ২০২৪ খ্রিঃ রোজ শনিবার চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে প্রাথমিক বাছাইকৃত ৫২৫জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে ১১৩জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। ২৪ নভেম্বর ২০২৪ লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১১৩জন প্রার্থী মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। নিজেদের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে পুরুষ-২৯ ও নারী-০৪জনসহ সর্বমোট ৩৩জন প্রার্থী নিয়োগ বোর্ড কর্তৃক চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়। রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাত ০৯ টায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে নতুন চাকরি পাওয়া এই তরুণ-তরুণীদের পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম-সেবা। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে নিজ মেধা ও যোগ্যতায় বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্য হওয়ার জন্য নির্বাচিত হতে পেরে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন চুয়াডাঙ্গার তরুণ-তরুণীরা। চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণাকালে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) পুলিশ সুপার পদে (পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার,কুষ্টিয়া বদরুজ্জামান জিল্লু বিপিএম,মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম সহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।