নিজস্ব প্রতিবেদক : কুষ্টিয়া র্যাব-১২ বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আরিফুল ইসলাম ডাবলুকে ৭ বছর পর আটক করেছে। মঙ্গলবার ৩০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার আদাবর থানা এলাকা হতে তাকে আটক করা হয়। সূত্রে জানাগেছে , গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ইং তারিখ কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানাধীন দৌলতপুর হাসপাতাল পাড়া এলাকায় ৯০ গ্রাম অবৈধ হেরোইন ক্রয় বিক্রয়ের জন্য নিজ হেফাজতে রাখিয়া অবস্থান করাকালে গ্রেফতার হন কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর হাসপাতাল পাড়া এলাকার মোঃ আরিফুল ইসলাম ডাবলু। উক্ত ঘটনায় কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানায় মোঃ আরিফুল ইসলাম ডাবলু এর বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়, যার মামলা নং-৪৫, তারিখ-২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ধারা-১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯(১) এর ১(খ)। উক্ত মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ০৫ ডিসেম্বর ২০২১ সালে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ২০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ০১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড সাজা দিয়ে রায় প্রদান করেন। আটক হওয়ার পর প্রায় ০৮ মাস জেল খেটে জামিনে মুক্তি পান মোঃ আরিফুল ইসলাম ডাবলু। এরপর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। জামিনের পর থেকে ঢাকায় চলে যায় এবং সেখানে তিনি দৈনিক দিন মজুরি হিসেবে রিক্সা চালানো শুরু করে এবং সেখানে পলাতক অবস্থায় বসবাস করে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, রাজবাড়ী জেলার সদর থানার মামলা নং-৪৮, তারিখ-৩০ জুলাই ২০১৩, ধারা-১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(এ)/১৯(এফ) এবং কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার মামলা নং-৪, তারিখ-০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ধারা-২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য আইনের ৩৬(১) সারণির ১৯(ক)। উক্ত সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেফতারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় সদর কোম্পানী, র্যাব-২ এবং সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২ এর যৌথ অভিযানে গত রাত ১০.০০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার আদাবর থানা এলাকা হতে উক্ত মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মোঃ আরিফুল ইসলাম ডাবলু, পিতা-মৃত আনসার আলী বিশ্বাস, সাং-দৌলতপুর হাসপাতাল পাড়া, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া’কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করতঃ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।