• বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
টঙ্গীতে বিএনপি ও তাঁতিদল নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পতিত আ.লীগের চাঁদাবাজ-দখলদাররা বিএনপিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে: আমিনুল হক আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে : আমিনুল হক গাজীপুরে দিনভর তিতাসের অভিযান : ২৫০ ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন, ২৫০ ফুট পাইপ জব্দ, ১ জনকে ২০ হাজার টাকা জরিমান মোহাম্মদপুর ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির ঈদ পূর্ণমিলনী ও আনন্দ ভ্রমণ অনুষ্ঠিত বিএনপি কখনোই মবকে প্রশ্রয় দেয় না : আমিনুল হক ১৭ বছরের আওয়ামী জুলুম ভুলে গেলে চলবে না : আমিনুল হক শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক নিয়ে যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় : কার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ালেন ডিসি আশরাফ, জানা গেল পরিচয় পলিথিন উৎপাদনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার : টাস্কফোর্স অভিযানে পলিথিন জব্দ, মালিকের ৩ মাসের কারাদণ্ড পল্লবীতে মুসলিম বাজার সমিতির মতবিনিময় সভায় আমিনুল হক: ক্ষতিগ্রস্তদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে দোকান দিতে হবে

গাজীপুরে জুলাই বিপ্লবে হত্যা মামলার আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওসি’র বিরুদ্ধে 

grambarta / ১০৮ ভিউ
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুর মহানগরীর গাছা মেট্রো থানা এলাকায় জুলাই বিপ্লবে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত মিনহাজ হত্যার অন্যতম আসামি আসাদুজ্জামান বাবু ওরফে লম্বা বাবুকে আটকের পর থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওসি আলী মোহাম্মদ রাসেদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে গাছা থানার কলমেশ্বর থেকে বাবুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শী অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন, বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ও ইউনুস জানান, অনেক মানুষের সামনে থেকে বাবুকে গ্রেফতার করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যান গাছা থানার এসআই সুমন খান। পরে শোনেছি ওসি তাকে থানা থেকে ছেড়ে দিয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হয়ে গেলে চাপে পড়ে প্রশাসন। পরে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে বাবুকে পুনরায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয় বলে জানা গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, গাছার কুনিয়াবাড়ি এলাকায় গত বছর ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২০ জুলাই মিনহাজকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই মামলার অন্যতম আসামি লম্বা বাবু। এ বিষয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর মিনহাজের চাচা কুদ্দুস বাদী হয়ে গাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। যেই মামলাটি ওসি রাসেদ নিজে সিল ও স্বাক্ষর করে রেকর্ড করেছেন। অথচ ওই মামলার আসামিকে ধরার পর ওসি কীভাবে ছেড়ে দিলেন, প্রশ্ন স্থানীয়দের। গাছা থানার এসআই সুমন খান জানান, আমি বাবুকে গ্রেফতার করে থানা নিয়ে আসি, পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এলাকার রেহান ও রাজুর জিম্মায় ওসি স্যারের আদেশে ছেড়ে দিই। সে হত্যা মামলার আসামি কিনা আমি জানি না। গাছা থানার ওসি আলী মোহাম্মদ রাসেদ জানান, ভুল করে ফেলেছি, দেখা কইরেন। থানা থেকে আসামিকে ছেড়ে দিলেন কেন-এমন প্রশ্নে ওসি বলেন, শারীরিক অবস্থা খারাপ তথা হার্টঅ্যাটাকের লক্ষণ দেখে আসামি বাবুকে প্রথমে ছেড়ে দিয়েছিলাম। পরে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) পুলিশ কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান জানান, অনেক চেষ্টা করেও আওয়ামী দোসরমুক্ত করা যাচ্ছে না প্রশাসন। আসামি হার্টঅ্যাটাক করায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে আমাকে প্রথমে ভুল বুঝিয়েছিল। তবে পুনরায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে কিনা সেটি আমি জানি না। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত লম্বা বাবু গাছা থানার ৩৫ ওয়ার্ড এলাকার হামেদ চৌধুরীর ছেলে এবং গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন মন্ডলের অনুসারী।

সূত্র : যুগান্তর


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর