নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের পূবাইল এলাকার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় আনন্দ টিভির গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক শাকিলের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগ দায়েরের প্রতিবাদে ও মিথ্যা অভিযোগ প্রত্যাহার এবং অপপ্রচার কারীদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি জানিয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। রোববার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় এই মানববন্ধন গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। সাংবাদিকরা এই মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা এই ঘটনাকে মুক্ত গণমাধ্যম, স্বাধীন মত প্রকাশ এবং সত্যনিষ্ঠ অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে দেখছেন। মানববন্ধনে সাংবাদিকরা বলেন, সাংবাদিক শাকিল একজন পেশাদার ও সাহসী কলম সৈনিক। সম্প্রতি তিনি পূবাইলসহ গাজীপুর অঞ্চলের বিভিন্ন অপরাধ, অনিয়ম ও দুর্নীতির চিত্র তার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে জনসম্মুখে তুলে ধরেছেন। জনস্বার্থে প্রকাশিত এই তথ্যনির্ভর প্রতিবেদনগুলো সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের জের ধরেই একটি স্বার্থান্বেষী মহল শাকিলের কণ্ঠরোধ করতে প্রতিহিংসার পথ বেছে নিয়েছে এবং পুবাইল থানায় তার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেছে। সাংবাদিক নেতারা আরও বলেন, শাকিল কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ব্যক্তিগত স্বার্থে কাজ করেননি। তিনি সর্বদা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার থেকেছেন। তার সাহসিকতা, দায়িত্ববোধ ও জনসেবামূলক মনোভাব সকল সাংবাদিকের জন্য অনুকরণীয়। তারা আরও উল্লেখ করেন, অপরাধের বিরুদ্ধে লেখা তার প্রতিবেদন এখন চক্রান্তকারীদের প্রধান লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। একজন নির্ভীক সাংবাদিকের কণ্ঠরোধ করার এই অপচেষ্টা কোনোভাবেই সফল হবে না এবং যারা আইনের অপব্যবহার করে সাংবাদিকদের হয়রানি করছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। মানববন্ধনে উপস্থিত সাংবাদিক সমাজ অবিলম্বে সারাদেশের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা ও শাকিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান। একই সাথে, তারা এই ষড়যন্ত্রের নেপথ্যের কুচক্রীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান। এ সময় উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, আব্দুর রউফ সরকার একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা এবং তিনি কখনোই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি।