• বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দামুড়হুদায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ : নারীসহ আহত-২২ গাজায় ইসরাইলের বর্বর আগ্রাসনের প্রতিবাদে গাজীপুরে বিক্ষোভ মিছিল : ফিলিস্তিন মুসলমানদের মুক্তি ও শান্তি কামনায় মোনাজাত চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান: ১’শ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার-১ দর্শনা থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান : একাধিক মামলার আসামী ওয়াসীম আটক, ধারালো ছুরি ও চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার বিয়েবাড়িতে গন্ডগোলের জেরে বর সহ কয়েকজন অবরুদ্ধ : ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করতে গিয়ে ওসি নিজেই বিপাকে, উদ্ধার করল সেনাবাহিনী জীবননগরে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৫রাউন্ড গুলি উদ্ধার পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের শুভেচ্ছা পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের শুভেচ্ছা পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের শুভেচ্ছা

১ লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ হয়েছে, উদ্ধারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার

grambarta / ১০৩ ভিউ
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৪

★প্রতিকি ছবি ★

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বিভিন্ন খাত থেকে ১ লাখ কোটি টাকা আত্মসাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সব অর্থ উদ্ধারের জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ টাকা উদ্ধারের পর ব্যাংকিংখাতকে ঢেলে সাজানো হবে বলে জানানো হয়েছে। আজ বুধবার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, দুর্নীতিবাজদের আত্মসাৎ করা অর্থ এবং দেশে ও বিদেশে রাখা উভয় সম্পদ পুনরুদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একই সঙ্গে দেশের ব্যাংকিং খাত পুনর্গঠনের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এ ছাড়া আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবে বিদেশে পাচার হওয়া এসব সম্পদ ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি জটিল ও সময়সাপেক্ষ বলে স্বীকার করে সরকার আর্থিক খাতের সংস্কারের অঙ্গীকারের ওপর জোর দিয়েছে। এই কৌশলের মূল উপাদান হবে ব্যাংকিং কমিশন প্রতিষ্ঠা করা, যা প্রতিটি সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিষয়ে তদন্ত, দুর্নীতির সম্পূর্ণ মাত্রা উন্মোচন এবং কর্ম পরিকল্পনা তৈরি করবে। সারা বিশ্বের ব্যাংকিং নিয়ম মেনে চলা নিশ্চিত করতে এই খাতকে ঢেলে সাজাতে পরিকল্পনাটি ছয় মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা যেতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক সব মান নিশ্চিত করতে সক্ষম হওয়া এবং একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা। তবে এ লক্ষ্য অর্জনে কার্যক্রমের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কারিগরি সহায়তা ও অর্থায়ন প্রয়োজন হবে। অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ব্যাংকিংখাত থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। প্রতারণার মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচারের বিষয়টি প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে এসব সংস্কার করা হচ্ছে। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী আত্মসাৎ করা মোট অর্থের পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে সঠিক সংখ্যা নির্ধারণে এখনো কাজ চলছে। এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকটি ব্যাংক সংস্কারের উদ্যোগের অংশ হিসেবে বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংকের বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও একই ধরনের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে। পাচার হওয়া অর্থের সন্ধান এবং সেগুলো ফিরিয়ে আনতে সরকার বিদেশি সংস্থাগুলোর সহায়তাও চেয়েছে। নতুন ব্যবস্থাপনা দলগুলো ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণের সঠিক তথ্য সংগ্রহ এবং সেগুলো পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রাখতে দায়বদ্ধ থাকবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর