★ মোহাম্মদপুরে আওয়ামী লীগ কর্মীসহ আবার দুই যুবককে হত্যা করা হয়েছে। একজনের লাশ পড়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে অপরটি শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে।
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মোহাম্মদপুর যেন লাশের কারখানায় পরিনত হয়েছে। সম্প্রতি একর পর এক হত্যাকান্ড এখানে ঘটেই চলেছে। এখানকার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। এখানকার কোন মোড়ে কে কখন হত্যার শিকার হয় এমন শংকায় প্রতিনিয়তই তাদের ভোগাচ্ছে। মূলত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা শিথিল থাকায় এই হত্যাগুলি হচ্ছে বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ কর্মীসহ ২ যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত ৭টার দিকে মোহাম্মদপুর কবরস্থান ১ নম্বর গেটের পাশে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় নাসিরকে স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ৯টার দিকে মারা যায়। আর মুন্না মারা যায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। পুলিশ বলছে, নিহত দুইজন একই গ্রুপের। নিহত নাসিরের বন্ধু মো. শাওন আহমেদ দৈনিক সকালের সময় প্রতিনিধিকে জানান, সে নিজে রায়েরবাজার এলাকায় ফোন ফ্যাক্সের ব্যবসা করেন। সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকা উদ্যানের দিকে যাচ্ছিলাম। এসময় নাসির এসে বলে তাকে মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়ে নামিয়ে দিতে। মোটরসাইকেল যোগে সাদেক খান কৃষি মার্কেট এলাকায় গেলে মারামারি দেখতে পাই। সেখান থেকে এক যুবক নাসিরের পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেয়। তখন নাসির মোটরসাইকেল থেকে নেমে কবরস্থানের দিকে দৌড় দেয়। কয়েকজন যুবক তার পিছু নিয়ে কবরস্থানের এক নম্বর গেটের পাশে নাসিরকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে চলে যায়। শাওন আরো জানান, আগে থেকেই কৃষি মার্কেট এলাকায় মারামারি চলছিল। তবে নাসিরকে কেন মারলো সে বিষয়ে কিছু জানা নেই। নিহত নাসিরের বড় ভাই ইসলাম বিশ্বাস জানান, তাদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার পশ্চিম বালিগ্রামে। বর্তমানে নাসির হাজারীবাগ রায়েরবাজার বাড়ৈইখালী ১২নম্বর রোডে থাকতো। সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো। তিন বোন পাচ ভাইয়ের মধ্যে নাসির ছিল চতুর্থ। সন্ধ্যার দিকে সে বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়েছিল। পরে লোক মারফত জানতে পারি কে বা কারা নাসিরকে কুপিয়েছে।তবে মুন্না বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান দৈনিক সকালের সময়কে জানান, দুই গ্রুপের মারামারি ঘটনায় নাসির ও মুন্না নামে দুই যুবক মারা গেছে। একজন মারা গেছে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে আর একজন মারা গেছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। তনিহত দুই যুবক একই গ্রুপের। ধারণ করা হচ্ছে পূর্বের কোন বিরোধের জেরধরে তাদের দুইজনকে একসাথে অপর গ্রুপের লোকজন দেখতে পেয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়া নিহত মুন্নার নামে ছয় থেকে সাতটি মামলার রয়েছে। বিস্তারিত ঘটনা জানার জন্য পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।