নিজস্ব প্রতিবেদক : স্ত্রী মোনালিসা হক রুপার পরকীয়া প্রেমের বলি হয়েছিলেন ৩ সন্তানের জনক চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া গ্রামের চাকরিজীবী আসাদুজ্জামান (৪০) ২০২০ সালের ২৭ মার্চ তিনি স্ট্রোকে মারা গেছেন জানিয়েছিলেন স্ত্রী মোনালিসা। সেদিনই তড়িঘড়ি করে তাকে কবর দেওয়ায় সন্দেহের দানা বাঁধে ভাই লিটনসহ পরিবারের সদস্যদের মনে। ২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর তার ভাই হাসানুজ্জামান লিটন বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা আদালতে মোনালিসা ওরফে রুপা ও তার প্রেমিক নরসিংদী জেলার হুমায়ূন কবিরকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিদের মধ্যে হুমায়ূন কবির জামিনে মুক্ত থাকলেও পলাতক ছিলেন মোনালিসা। মামলাটি চুয়াডাঙ্গা সিআইডি’র অধীনে তদন্তাধীন ছিল। মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সিআইডির ইন্সপেক্টর মীর মনিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শহরের ফেরিঘাট সড়কে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে চুয়াডাঙ্গা সিআইডির ইন্সপেক্টর মীর মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। অভিযান সূত্রে জানা যায়, মোনালিসা হক রুপা ফেরিঘাট সড়কের ওল্ড জিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু স্বামী হত্যায় আসামি হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সিআইডি পুলিশের সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে। এসময় আদালত মোনালিসা হক রুপাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। মামলার বাদী হাসানুজ্জামান লিটন বলেন, মোনালিসা একসঙ্গে দুজনের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িত ছিল। প্রেমিক নরসিংদী জেলার হুমায়ূন কবিরকে সে বিয়েও করেছে। হুমায়ূন কবিরই বিয়ের আগে মোবাইলে আমাদের জানিয়েছিল মোনালিসা তার অন্য এক প্রেমিকের সঙ্গে মিলে আসাদুজ্জামানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করে। এবং স্ট্রোকে মারা গেছে বলে প্রচার করে। তিনি বলেন, ‘সিআইডি মামলার তদন্ত করছে, আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যার বিচার পাবো।