নিজস্ব প্রতিবেদক : স্মরণকালের রেকর্ড ভাংলো কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়ন নির্বাচনের এবারের সাধারণসভায়। চলমান পরিস্থিতিতে পুলিশি অনুমোদন পেতে বেশ বেক পেতে হয়েছে নেতৃবৃন্দদের। কেরুজ ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে দীর্ঘ বৈঠক শেষে রাত দুটোর দিকে ৬ জন সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী দর্শনা থানা পুলিশকে লিখিত মুছলেখা দিয়ে পেলেন সভার অনুমতি। অবশেষে কাংখিত সাধারণসভা শান্ত পরিবেশে হলেও কোন প্রকার হৈ হট্রগোল ছাড়ায় সভ্যতার মাধ্যমে একে ওপরকে কথার তীরে ধবল ধোলাই করেছেন। এবারের সাধারণসভা দীর্ঘ হয়নি, হয়নি রাত গভীরও। পুলিশের দেয়া সময় শনিবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত থাকলেও সংগঠনগুলো থেকে র্যালি প্রদর্শন করে বের হতে হতে সভাস্থলে পৌছুতে সময় লেগেছে দুপুর ১২ টা। ফলে ওই সময় কেরুজ জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাও শামসুজ্জোহা কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় আলোচনাপর্ব। সময় সংক্ষিপ্ততার কারণে নাম ও পদের জানান দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন সহ-সভাপতি, যুগ্নসম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, ক্যাশিয়ার, দপ্তর সম্পাদক ও সদস্য পদপ্রার্থীরা। স্বাগত বক্তব্য সহ দ্বি-বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ করেন, ইউনিয়নের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ। সভাপতিত্ব করেন, বর্তমান পরিষদের সভাপতি ফিরোজ আহমেদ সবুজ। প্রধান অতিথি ছিলেন, কুষ্টিয়া শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক তৈফিক হোসেন। আলোচনা করেন কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সৌমিক হাসান রূপম ও জয়নাল আবেদীন নফর। আরো বক্তব্য দেন, সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, একই এসএম কবির, পদপ্রার্থী সাংবাদিক ইয়াসির আরাফাত মিলন, বর্তমান যুগ্নসাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, এ পদপ্রার্থী সাবেক যুগ্নসম্পাদক খবির উদ্দিন, বাবুল আক্তার, ইসমাইল হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক পদপ্রার্থী ইকবাল হোসেন ও মহিদুল ইসলাম। অর্থ সম্পাদক (কোষাধ্যক্ষ) আবু সাঈদ, রেজানুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক সালাউদ্দিন সনেট, প্রচার সম্পাদক প্রার্থী রবিউল ইসলাম সুমন, মিজানুর রহমান, ইউনিয়নের যুগ্ন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ও অফিস সহকারী আশরাফুল আলমের উপস্থাপনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, সদস্য প্রার্থী হারেজুল ইসলাম, সাহেব আলী শিকদার, সাইফুদ্দিন সুমন, মাইদুদ্দিন,আবু সিদ্দিক, আমিনুল ইসলাম, বাবর আলী, আব্বাস আলী, নুর ইসলাম, আজাদ হোসেন, মজিবর রহমান প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যের ফিরোজ আহমেদ সবুজ নির্বাচনের দিন পরিবর্তন ঘোষনা করেন। ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বর্তমান পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ৮ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহনের। সে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে সাধারণসভা ঘোষনা দেয়া হয় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সময় ওই বৈঠকে গঠিত ৫ সদস্যের তালিকা প্রকাশ করে সর্বসম্মতিক্রমে চুড়ান্ত করা হয়। নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন মিলের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) আব্দুছ ছাত্তার, সদস্য সচিব প্রকৌশলী (পরিবহন) আবু সাঈদ। সদস্যরা হলেন, উপ-ব্যবস্থাপক (পার্সনাল) আল আমিন, উপ-ব্যবস্থাপক (হিসাব) শেখ জাবেদ হাসান ও সহকারি ব্যবস্থাপক (বানিজ্যিক) ডিস্টিলারী, জহির উদ্দিন। এবারের নির্বাচনে চিনিকলের হিসাব, প্রসাশন ভান্ডার, স্বাস্থ্য বিধান, ইমারত, সেনিটেশন, হাসপাতাল, চোলাই মদ কারখানা, ডিস্টিলারী, বিদ্যুত ও কারখানা, প্রকৌশলী, পরিবহন, ইক্ষু উন্নয়ন, ইক্ষু সংগ্রহ বিভাগ সহ বানিজ্যিক খামার গুলোর শ্রমিক-কর্মচারিদের নিয়ে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২০০ জন। তবে এ ভোটার সংখ্যা বাড়বে বা কমতেও পারে।