• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মাফিয়ালীগের পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশে যেন আর না হয়-রিজভি জামায়াতে ইসলামী আদর্শ থেকে এক চুলও বিচ্যুত হয় না : কর্মী সমাবেশে-রুহুল আমীন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন : সভাপতি মাহমুদুল হাসান খান বাবু, সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ নাটোরে অবৈধভাবে আলু মজুদ করায় ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা ১৪ বছর পর চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে শিশুদের সুরক্ষা ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ অনলাইন তৃণমূল সাংবাদিক ফোরামের নতুন কমিটি গঠন : চেয়ারম্যান মনির ও মহাসচিব শাওন নাটোরে বিপুল পরিমাণ জাল নোট সহ পাঁচজন আটক চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র অভিযানে ৩০৬ গ্রাম ওজনের ভারতীয় তৈরীকৃত স্বর্ণের গহনা জব্দ  

ভরা মৌসুমেও বাজারে ৫০ টাকার নিচে নেই সবজি

grambarta / ৮৫ ভিউ
প্রকাশের সময় : শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিম, কপি ও বেগুনসহ শীতকালীন নানা সবজিতে ভরপুর বাজার। অবশ্য দাম দেখে কোনোভাবেই বোঝার কোনো উপায় নেই যে, এটা সবজির মৌসুম। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মুলা, পেঁপে ও শালগম ছাড়া কোনো সবজির দাম ৫০ টাকার নিচে নেই। অন্যান্য দিনে মুলা কেজি প্রতি ৩০ টাকায় বিক্রি হলেও শুক্রবারের বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বাড্ডা ও রামপুরা এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে সবজির দামের এই চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপিও। এছাড়া, প্রকারভেদে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকায়। তাছাড়া, বাজারে রান্নায় সবচেয়ে ব্যবহার্য আলু বিক্রি হচ্ছে আকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে। তুলনামূলক সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে মুলা ও পেঁপে ৪০ টাকায়। আর বরবটি ১২০ টাকা, শালগম ৪০, লাউ ৫০-৮০ টাকা প্রতি পিস, শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে। আজকের বাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় শাক কম দেখা গেছে, ফলেও দামও তুলনামূলক কিছুটা বেশি। এক আঁটি লাল শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা করে, যা অন্যান্য সময়ে ১০-১৫ টাকা করেই পাওয়া যায়। এছাড়া, লাউ শাক ৫০ টাকা, পালং শাক ২০ টাকা ও ডাঁটা শাক ২০ টাকা আঁটি করে বিক্রি হচ্ছে। বাজার করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার এলেই শাক-সবজির দাম বেড়ে যায়। বাজারে সবজির দাম শুনলেই মাথা গরম হয়ে যায়। এখন শীতের প্রতিটি সবজিই বাজারে চলে এসেছে, তারপরও দাম কমছে না। যা দাম চাচ্ছে তাই দিতে হবে, না হয় সামনে দাঁড়ানোরও সুযোগ নেই। কী আর করা, বাধ্য হয়েই আমাদেরকে কিনতে হচ্ছে।

জহিরুল ইসলাম নামের আরেক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, শুক্রবারে ছুটি থাকে, তাই সপ্তাহের বাজারটা এই দিনে করে ফেলার চেষ্টা করি। কিন্তু এখন দেখছি ব্যবসায়ীরাও এই দিনটাকে ঘিরে নতুন করে ব্যবসার ফন্দি এঁটেছে। আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় সব কিছুর দাম বেশি। তিনি বলেন, বাজারগুলোতে মনিটরিং করতে কোনোদিন দেখিনি। বাজার কমিটিও থাকে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার ধান্দায়। সরকারও যেন সিন্ডিকেটের কাছে অনেকটা অসহায়। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে? এদিকে, বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই দিন বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির পরিমাণ কম, তাই বেশি দামেই আমাদের কিনে আনতে হয়েছে। বিক্রেতা রাকিব মিয়া বলেন, বাজারে শীতের সবজি পর্যাপ্ত আছে, কিন্তু দামটা অন্যান্য সময়ের তুলনামূলক একটু বেশি। আবার দাম বেশি হলেও তুলনামূলক চাহিদাও অনেক বেশি। আপনারা বলছেন দাম বেশি, তারপরও মানুষ এতো পরিমাণ নিচ্ছে, যা দেখে অবাক হওয়ার মতো। তিনি বলেন, শুক্রবারে অধিকাংশ মানুষ সাপ্তাহিক বাজার করে ফেলে। যে কারণে চাহিদা থাকে অনেক বেশি। অন্য দিনগুলোতে সারা দিনে যা বিক্রি করি, শুক্রবার এলে সকালের দিকেই সেই পরিমাণ বিক্রি হয়ে যায়। তবে দামটা যদি আর একটু কম থাকত, তাহলে হয়ত বিক্রেতা আরও বেশি হতো। বৃষ্টির অজুহাত দিয়ে সবজি বিক্রেতা মো. কবির হোসেন বলেন, গত দুই দিন বৃষ্টি হয়েছে। ফলে অনেক কৃষকের সবজি নষ্ট হয়েছে, তাই সব সবজির দামটা একটু বেড়ে গেছে। আমরা যে ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি দামে বিক্রি করি, বিষয়টা এ রকম নয়। অনেকটা বাধ্য হয়েই দামটা একটু বাড়িয়ে রাখতে হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর