নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমারের ভেতরে ভয়াবহ গোলাগুলির মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ১৪ জন সদস্যকে ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন মন্ত্রী। বাংলাদেশের বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে ভয়াবহ গোলাগুলি চলছে। ১০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলমান গোলাগুলিতে কম্পিত পুরো সীমান্ত এলাকা। গোলাগুলির ভয়াবহতা দেখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমারের ১৪ জন বিজিপি সদস্য।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিজিপির একের পর এক ঘাঁটি দখল করে নিচ্ছে আরাকান আর্মি। আমাদের বর্ডারের কাছে যেগুলো ছিল সেগুলো দখল করে নিয়েছে। বিজিপি আত্মরক্ষার্থে ভেতরে ঢুকে সহযোগিতা চেয়েছে। বিজিবি তাদের অবরুদ্ধ করেছেন তাদের অস্ত্র নিয়ে এক জায়গায় আটক করে রাখা হয়েছে। এরা মোট সংখ্যায় ১৪ জন। তারা আত্মরক্ষার্থে বাংলাদেশে ঢুকেছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। যাতে তারা এদের নিয়ে যান। মন্ত্রী বলেন, ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমি আশাকরি, খুব শিগগির এদের পাঠিয়ে দেবো। আমরা কোন যুদ্ধে জড়াতে চাই না। যুদ্ধ চাইও না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবসময় সেই নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তবে আমরা সবসময় তৈরি আছি। তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমার সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি করেছি। আমরা পুলিশকে বলে দিয়েছি, কোস্টগার্ডকেও আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে কোনোভাবেই কেউ আমাদের সীমানায় অনুপ্রবেশ করতে না পারে। সেই ব্যাপারে আমরা খুব সতর্ক রয়েছি। যুদ্ধ কতদিন চলে আমরা জানি না। কিন্তু সীমান্ত পার হয়ে কাউকে আসতে দেবো না। বিজিবিকে আমরা সেই নির্দেশনাটাই তাই দিয়েছি।আত্মরক্ষার্থে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী বাংলাদেশে ঢুকলে তাদের ধরে আবার ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান খান। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এ দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে প্রতিবন্ধকতা হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তারপরও রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সরকারের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।