নিজস্ব প্রতিবেদক : টাকার জন্য বৃদ্ধ মাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুই ছেলের বিরুদ্ধে। দুই ছেলের এমন অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বিচার দাবি করে-মা। বিচার দাবি করায় ক্ষিপ্ত হয়ে আরো নির্যাতন করে ওই দুই সন্তান সজীব ও রাজীব। উপায়ন্তর না পেয়ে দুই ছেলের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন মারধরের শিকার-মা ছামসুন নাহার (৬০)। অভিযোগ করা এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হইনি কোনো আইনি পদক্ষেপ। পুলিশের ভুমিকা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী ৪৫ নং ওয়ার্ডের মিরাশপাড়া এলাকায় । বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ছেলের হাতে মারধরের শিকার-মা শরীরের ক্ষতচিহ্ন সাংবাদিকদের দেখান ও স্থানীয়দের কাছে বিচার দাবি করেন। এরি পেক্ষিতে স্থানীয় ভাবে বসে সমাধানের জন্য ছেলেদের ডাকা হয় সালিশে। এতে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে দুই সন্তান সজিব (৩৫) ও রাজিব (৩০) এর পর শুরু হয় আবারো মারধর। মারধরের ভয়ে লুকিয়ে থাকে পরের বাড়িতে। উপায়ন্তর না পেয়ে অ়ভিযোগ করে থানায়। অ়ভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ৬ মাস পর্বে ভুক্তভোগী ছামসুন নাহারের স্বামী মারা গেছে মারা যাবার আগে ব্যাংকে কিছু টাকা রেখে মারা যান। ছেলেদের আচার ব্যবহার দেখে ভালো মনে না হওয়ায় স্ত্রীকে শতভাগ নমিনি করে রাখেন। ভুক্তভোগী জানান আমার স্বামীর মৃত্যুর পরপরই আমার দুই ছেলে সজিব (৩৫) ও রাজিব (৩০), নামীনি সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র নিয়ে সরিয়ে ফেলে। তারা আমার থেকে টাকা পয়সা নিতে আমাকে প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করে ও দফায় দফায় মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করে। টাকা না দিলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করিয়া আমার গায়ে হাত তোলে। ছেলেদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হইয়া আমি আলাদাভাবে রান্না করিয়া খাবার খেয়ে জীবন ধারণ করিলেও তারা আমাকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। প্রতিটি পদে পদে আমাকে অশান্তি করে। তাদের অত্যাচার দেখে মনে হচ্ছে টাকা দিলেও তারা আমাকে শান্তিতে থাকতে দিবে না। ইতিপূর্বে ছোট ছেলে আমাকে মারধর করিলেও ২৬/০৭/২০২৫ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১ টার দিকে তুচ্ছ ঘটনায় আমার দুই ছেলে মারতে আসে। বাড়ির ভাড়াটিয়া ঠেকানোর কারনে আমি রক্ষা পাই। তিনি আরো বলেন আমি হজ্ব করে এসেছি আমি যাহাতে বাকি জীবন শান্তিতে থাকতে পারি ও ছেলেদের অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পাই সেজন্য থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি আশা করি পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার পাবো। এবিষয়ে অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এহতাশাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করেছি এটা পারিবারিক বিষয়, এটা পারিবারিক আইন দেখবে, সম্পত্তি বা টাকা থাকলে ঝামেলা হবেই এটা সামন্য বিষয় মা-ছেলে ঠিক হয়ে যাবে। যদি ভুক্তভোগী ঝুকি মনে করে তাহলে থানায় জিডি করার পরামর্শ দিয়েছি। এবিষয়ে সজিবের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায় যার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হইনি।