নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের টঙ্গীতে একটি মোবাইল প্রস্তুতকারী কারখানার বর্জিত মালামাল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার টঙ্গীর গাজীপুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের প্রায় ১০ জন আহত হয়। আহতদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে টঙ্গী পশ্চিম থানায় ১২জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন আহত ব্যাবসায়ী কুদ্দুস। এ ঘটনায় তিন আওয়ামীলীগ নেতা কে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় পুলিশ। এরা হলেন , কাজী কামাল, কাজী হুমায়ুন ও আসাদুজ্জামান জনি। গ্রেফতারকৃত তিন জনই আওয়ামীলীগ নেতা। গতকাল ভোর রাতে গাজীপুরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত কাজী কামাল ও কাজী হুমায়ুন ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবু বকর সিদ্দিকের ছোট ভাই। জানাগেছে, গত সোমবার বেলা ১টায় গাজীপুরা সাতাইশ রোডে একটি মোবাইল প্রস্তুত কারখানার বর্জিত মালামাল নিয়ে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন মোল্লার লোক ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবু বকর সিদ্দিকের লোকজনের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি হয়। এ ঘটনায় কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন মোল্লার পক্ষ থেকে মো, কুদ্দুস বাদি হয়ে টঙ্গী পাশ্চিম থানায় মামলা করেন। পরে ভোর রাতে গাজীপুরা এলাকা থেকে তাদের তিন জনকে পশ্চিম থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে থানা নিয়ে যায়। ৫০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী আবু বকর সিদ্দিক জানান, কারখানার পক্ষ থেকে আমার পরিচিত একজন বর্জিত মালামাল বের করার জন্য তাদের প্যাডে ৩১ জানুয়ারি লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়। কারখানায় বর্জিত মালামাল আনতে গেলে বিল্লাল মোল্লার লোকজন আমার লোকজনকে মারধর করে। ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলব বিল্লাল হোসেন মোল্লা বলেন, আমার লোকজন আগে থেকেই কারখানা থেকে বর্জিত মালামাল নিচ্ছিল। ১৭ জানুয়ারি থেকে কারখানার কর্তৃপক্ষ থেকে লিখিত অনুমতি দেওয়া হয়। সোমবার কারখানায় মালামাল আনতে গেলে কাজী আবু বক্করের লোকজন আমার লোকজনকে মারধর করে আহত করে। এ ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো, সাওখাওয়াত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের জেল হাজতে পাঠানো হয়ছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।