নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ বন্দর নগরী চট্রগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে তামিমের ফিফটিতে ৬ উইকেটে হারিয়ে ১৮৬ রান সংগ্রহ করে ফরচুন বরিশাল। তামিম ও শেহজাদের ব্যাটে বরিশাল শুরুটা ভাল করলেও মিডল অর্ডারের ব্যার্থতায় শেষ পর্যন্ত ১৮৬ রান সংগ্রহ করে। তামিমের ব্যাট থেকে ৪৫ বলে ৭১ রান করে। এছাড়াও সৌম্য সরকার ২৩ বলে ২৮ রান ও সাইফুদ্দিন ৬ বলে ২৩ রান করেন। দুর্দান্ত ঢাকা পক্ষে আলাউদ্দিন বাবু ৩ উইকেট ও তাসকিন আহমেদ ২ উইকেট লাভ করেন। সাকিব আল হাসানের পর চট্টগ্রামে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন তামিম ইকবাল। নিজের ঘরের মাঠে ফরচুন বরিশালের হয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি ওপেনার। তার ব্যাটে ভর করে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দল দুর্দান্ত ঢাকাকে ১৮৭ রানের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে বরিশাল।বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বে যেখানে রানের ফোয়ারা, সেখানে শুরুতে একেকটি রানের জন্য রীতিমত সংগ্রাম করতে হয়েছে বরিশালকে। ২২ বল শেষে দলীয় রান যখন ২০, অতিরিক্ত খাত থেকে রান এসেছে ৭। শুধু তামিম কেন, শুরুতে ব্যাট হাতে ধুঁকছিলেন আহমেদ শেহজাদও। তবে চতুর্থ ওভার শেষে তামিমও শুরু করেন মেরে খেলা। আরাফাত সানিকে এক ওভারে হাঁকান দুটি চার, দুটি ছক্কা। একবার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর আর পেছনে তাকাতে হয়নি তামিমকে। ৫টি চার ৩টি ছক্কায় ৩৪ বলে অর্ধশতকের মাইলফলকে পা রাখেন ড্যাশিং ওপেনার। ২২ বলে ২৪ রান করে আহমেদ শেহজাদ সাজঘরে ফিরলেও সৌম্য সরকার ওয়ান ডাউনে নেমে সঙ্গ দেন তামিমকে। তামিমের সামনে ছিল সেঞ্চুরির সুবর্ণ সুযোগ। তবে ৪৫ বলে ৭১ রান করে থামে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসটি। ১৫৭.৭৭ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা তামিমই দলকে গড়ে দেন বড় পুঁজির ভিত। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১০ বলে ১৩ রান করে ফেরেন, আর সৌম্য সরকার ২৩ বলে ২৮ রান করে বিদায় নিলে আক্ষেপ রয়েই যায় ভক্তদের। শেষদিকে মুশফিক-মিরাজরা সুবিধা করতে না পারলেও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন খেলেন ৬ বলে ২২ রানের ক্যামিও। এছাড়া ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন শোয়েব মালিক। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান দাঁড়ায় বরিশালের সংগ্রহ। ঢাকার পক্ষে আলাউদ্দিন বাবু তিনটি ও তাসকিন আহমেদ দুটি উইকেট শিকার করেন।