• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
জামায়াতে ইসলামী আদর্শ থেকে এক চুলও বিচ্যুত হয় না : কর্মী সমাবেশে-রুহুল আমীন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন : সভাপতি মাহমুদুল হাসান খান বাবু, সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ নাটোরে অবৈধভাবে আলু মজুদ করায় ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা ১৪ বছর পর চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত শিবগঞ্জে শিশুদের সুরক্ষা ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত সিংড়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ অনলাইন তৃণমূল সাংবাদিক ফোরামের নতুন কমিটি গঠন : চেয়ারম্যান মনির ও মহাসচিব শাওন নাটোরে বিপুল পরিমাণ জাল নোট সহ পাঁচজন আটক চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র অভিযানে ৩০৬ গ্রাম ওজনের ভারতীয় তৈরীকৃত স্বর্ণের গহনা জব্দ   কুষ্টিয়া র‌্যাবের অভিযানে সাজাপ্রাপ্ত আসামি আটক

আইনি জটিলতায় ২ মাস বেতন পাইনি কেরুর শ্রমিকরা : চাকরি স্থায়ী নিয়ে আশঙ্কা

grambarta / ১০৬ ভিউ
প্রকাশের সময় : সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : চুয়াডাঙ্গা জেলার একমাত্র ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান কেরু এন্ড কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির সদ্য নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জটিলতা। প্রতিষ্ঠানের ১০৪ জন মৌসুমি শ্রমিক গত ২ মাস আগে স্থায়ী করণের মাধ্যমে যোগদান করলেও বিভিন্ন আইনি জটিলতায় পাইনি বেতন ভাতা। বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। সেই সাথে চাকরি স্থায়ী করণের আশঙ্কা নিয়ে ধুকে ধুকে ভুগছে। একদিকে বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করা আরেকদিকে চাকরি স্থায়ী নিয়ে জটিলতা সব মিলিয়ে যেনো মরার উপরে খাড়ার ঘা। উল্লেখ্য কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ১৫০ জন জনবল শূন্য থাকার অনুকূলে গত ২০২৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের ২৫২৫ তম বোর্ড সভায় মৌসুমি শ্রমিক পদ থেকে স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা অনুমোদিত হয়।৩৬.০৪.০০০০.০১৩.৭৬.০০১.২২.২৭৭ স্মারকে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চিফ অফ পারসোনেল শাহরিনা তানাজের ২০২৪ সালের ১৪ মার্চ স্বাক্ষরিত অনুমোদীত নীতিমালাটির একটি পত্র কেরু এ্যান্ড কোম্পানি কর্তৃপক্ষের কাছে আসে। এই নীতিমালার আলোকে কর্তৃপক্ষ মৌসুমি দক্ষ শ্রমিক স্থায়ীকরণ করার জন্য সদর দপ্তরে একটি পত্র পাঠায়। এরপর ৩৬.০৪.০০০০.০১২.২৮.০১৯.১৮.৮২ স্মারকে গত ২০২৪ সালের ২৫ মার্চ প্রধান কার্যালয়ের চিফ অফ পারসোনেল হামিদুল ইসলাম মৌসুমি জনবলকে স্থায়ীকরণের মাধ্যমে শূন্যপদ পুরনের জন্য অনুমোদন পূর্বক একটি পত্র পাঠায়। তাতে উল্লেখ করা হয় অনুমোদীত নীতিমালা অনুযায়ী মজুরি কমিশনে ৪৪টি ও পে-কমিশনের ৬৫টি পদসহ সর্বোমোট ১০৯টি স্থায়ী শূন্য পদ পুরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এরপর ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল আন্তঃবিভাগীয় মৌসুমি শ্রমিক দিয়ে স্থায়ী শূন্যপদ পুরনের জন্য একটি সমন্বয় বিজ্ঞপ্তি কেরু এ্যান্ড কোম্পানির নোটিশ বোর্ডে টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। এরপর ২০২৪ সালের ২৭ এপ্রিল কেরুর মহাব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহাকে আহবায়ক করে ৭ সদস্যের একটি নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, একই প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) মুহাম্মদ আব্দুছ সাত্তার, মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ইউসুফ আলী, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম ভূঁইয়া, মহাব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) রাজিবুল হাসান, উপ-মহাব্যবস্থাপক (পাসোনেল) আল-আমিন ও ঢাকা সদর দপ্তরের মানবসম্পদ বিভাগের  ব্যবস্থাপক (সংস্থাপন) সাইফুল আলম।বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী আবেদনকারীদের আবেদনগুলো যাচাই-বাচাই করে প্রতিনিধি মনোনয়নের জন্য সদর দপ্তরে পাঠানো হয়। সদর দপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ওই কমিটির সদস্যগণ যোগ্যতা মূল্যায়ন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০২৪ সালের ১৩ ও ১৪ মে শেষ করে। এদিকে গত ১৫-০৫-২০২৪ খ্রি. তারিখে ৩৬,০৪,০০০০,০০১,১৮,০০১.২৩.১২৪ নং স্মারকে মৌসুমি জনবল থেকে স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও সদর দপ্তরের নির্দেশ উপেক্ষা করে কেরু এন্ড কোম্পানি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ১০৪ জনকে যোগদানের চিঠি দেন। তাড়াহুড়া করে যোগদান করানোর বিষয়টি নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় সহ-সদর দপ্তরে হইচই শুরু হয়। সেই সাথে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমলোচনা শুরু হলে। বিষয়টি নিয়ে ১৫-০৫-২০২৪ তারিখে ব্যাখ্যা চেয়ে চেয়ারম্যান (গ্রেড-১)(শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি) কেরু ব্যবস্থাপনা পরিচালক সহ ৫ জিএমকে চিঠি প্রদান করে। ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠির হুবহু উল্লেখ করা হলো। আপনার বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে যে, আপনি ১৩-০৫-২০২৪ ও ১৪-০৫-২০২৪ খ্রি. তারিখে মিলের মৌসুমি জনবল থেকে স্থায়ী জনবল নিয়োজনের জন্য মৌখিক ও লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ শেষে ১০৪ জন মৌসুমী শ্রমিক/কর্মচারীকে ১৫-০৫-২০২৪ খ্রি. তারিখে নিয়োজন পত্র দিয়ে একই দিনে চাকরির নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে যোগদানে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া সদর দপ্তরের ১৫-০৫-২০২৪ খ্রি. তারিখের ৩৬,০৪,০০০০,০০১,১৮,০০১.২৩.১২৪ নং স্মারকে মৌসুমি জনবল থেকে স্থায়ীকরণ সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও আপনি তা অমান্য করে নিয়োজন সম্পন্ন করেছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, আপনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নিজ স্বার্থ চরিতার্থে লাভালাভের নিমিত্ত লোকজন নিয়োজনে অনিয়ম করেছেন যা বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন কর্মচারী প্রবিধানমালা ১৯৮৯ এর পরিপন্থি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এজন্য অপনার বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার জন্য লিখিত জবাব আগামী ০৩ দিনের মধ্যে নিম্নস্বাক্ষরকারীর নিকট প্রদানের জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। জবাব প্রদানে ব্যর্থ হলে আপনার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়ে কেরুর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের সাথে মুটো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হইনি। শ্রমিকরা ২ মাসেও বেতন পাইনি এবিষয়ে জিএম প্রশাসন মোঃ ইউসুফ আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান সদর দপ্তর সহ শিল্প মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন আইনী জটিলতার কারণে বেতন দেয়া সম্ভব হয়নি তবে বেতন দেয়ার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কেরুর শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ জানান শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য সদর দপ্তর ও শিল্প মন্ত্রণালয়ে কথাবার্তা বলা হয়েছে এবং বেতন দেওয়ার একটা প্রক্রিয়া চলছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর