নিজস্ব প্রতিবেদক : ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ১২ ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আজ বুধবার (২১ আগস্ট) পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অসংখ্য মানুষ। উদ্ধার অভিযানে নেমেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ২৭টি স্থানে দিয়ে এখনও লোকালয়ে পানি ঢুকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার নদী ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকে ১২ ইউনিয়নের প্রায় ১৫০টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এতে চমর দুর্ভোগে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার পানিবন্দি মানুষকে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রদের সহায়তায় ডিঙি নৌকা দিয়ে উদ্ধার করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করার জন্য সেনাবাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত পরশুরামে এক ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা হাবিব শাপলা।
ফুলগাজীতে একজন মারা যাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন ফুলগাজী উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা তানিয়া ভুইয়া। ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে এখনও পানি থাকায় ছোট যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, আবাদি জমির ফসল, নষ্ট হয়েছে মানুষের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। পানি থাকায় তারা করতে পারছে না রান্নাও।
সীমান্ত এলাকার একটি সূত্র জানিয়েছে ভারতের ত্রিপুরায় ব্যাপক বৃষ্টির কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে। ভারতের ত্রিপুরার ডম্বুর হাইড্র ইলেক্ট্রিক প্রজেক্ট রয়েছে, যা ডম্বুর গেট নামে পরিচিত। বন্যার পানি কমার জন্য প্রজেক্ট কর্তৃপক্ষ ডম্বুর গেট খুলে দিয়েছে। তাই উজান থেকে নেমে আসা পানি বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।