নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃষ্টির পরিমাণ কমে আসায় বন্যাকবলিত বেশির ভাগ এলাকায় পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ধীরগতিতে হলেও বন্যা পরিস্থিতির এই উন্নতি রোববারও অব্যাহত থাকবে। অবশ্য গোমতী নদীর পানি কুমিল্লা পয়েন্টে গতকাল সন্ধ্যার সময়ও বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। ফেনী নদীর পানি রামগড় পয়েন্ট এলাকায় বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বন্যাদুর্গত এলাকার পানি গতকাল সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গড়ে ১৫ সেন্টিমিটার করে কমেছে বলে জানান বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান। তিনি গতকাল রাতে বলেন, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর মধ্যে এখনো কুমিল্লায় পানি কমার গতি কম। রোববার ও সোমবার উপকূলীয় ও দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর ফলে বন্যাকবলিত এলাকা থেকে হয়তো একটু ধীরগতিতে পানি কমতে পারে। তবে বন্যা উন্নতির ধারা অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় রয়েছে। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে । সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। গতকাল খুলনার কয়রায় ১৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। ভারী বৃষ্টি হয়েছে ভোলাতেও, ৪৭ মিলিমিটার। এ ছাড়া পাবনার ঈশ্বরদীতে ৩৮ মিলিমিটার, সাতক্ষীরায় ৩১ মিলিমিটার ও বরিশালে ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বন্যায় আক্রান্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশকিছু অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবানে ২১ মিলিমিটার; কুমিল্লা, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৫ মিলিমিটার করে; কক্সবাজারে ২ মিলিমিটার এবং চট্টগ্রামে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে। এর বাইরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ১৭ মিলিমিটার ও সিলেটে ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।