নিজস্ব প্রতিবেদক : গাজীপুরের টঙ্গীতে পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড নামের ওষুধ উৎপাদন কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করছেন। রোববার (২৫ আগস্ট) সাড়ে ১০ টায় টঙ্গী ৪৬ নং ওয়ার্ডের তিস্তারগেট এলাকায় কারখানাটির প্রধান ফটকে বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকরা। প্রায় ১ হাজার শ্রমিক কারখানার সামনের শাখা সড়কে অবস্থান নিয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত বিক্ষোভ করছেন। শ্রমিকরা জানান, পপুলার
ফার্মাসিউটিক্যালস্’র শ্রমিকরা দির্ঘদিন কতৃপক্ষের নিকট থেকে বৈষম্যের শিকার হচ্ছি এখন সময় এসেছে আমাদের দাবি আদায়ের। তাই আমরা ফার্মাসিউটিক্যালস্’র সকল পিএলসি শ্রমিকরা সকালে কারখানাটির প্রায় ১ হাজার শ্রমিক কারখানায় কাজে যোগ দিতে আসেন। এ সময় তাদের ১৯ দফা দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ দাবিগুলো মেনে না নেওয়ায় শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে কারখানাটির সমনের শাখা সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন শ্রমিকেরা। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এসময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল এসে জনোগনের যাতে ভোগান্তি না হয় এবং বর্তমান বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রান সহায়তা পাঠানো গাড়ি যাতে আটকা পড়ে না থাকে সেজন্য শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দিতে বলেন এবং পপুলার কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে শ্রমিকদের দাবি আদায়ের চেষ্টা করবে বলে আশ্বস্ত করলে শ্রমিকরা ৩০ মিনিটের জন্য সড়ক থেকে সরে যান ।শ্রমিকদের ১৯ দফা হলো শ্রমিক ইউনিয়ন গঠন করতে হবে নির্বাচনের মাধ্যমে, নতুন অস্থায়ী শ্রমিকদের ০৬ (ছয়) মাসের মধ্যে স্থায়ী করতে হবে এবং পুরাতন সকল অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ী করতে হবে, স্থায়ী শ্রমিকদের সর্বনিম্ন বেতন ২০৫০০/- (বিশ হাজার পাঁচশত) টাকা করতে হবে, নাইট এ্যলাউন্স ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা করতে হবে, ৫। স্থায়ী শ্রমিকদের বেতন বছরে সর্বনিম্ন ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা বৃদ্ধি করতে হবে, মাসিক হাজিরা বোনাস ১০০০/- (এক হাজার) টাকা করতে হবে এবং ক্যাজুয়ালদের বৈশাখী ও দুই ঈদের বোনাস ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা দিতে হবে, প্রতি বছর শেষে প্রোডাকশন বোনাস দিতে হবে, বৈশাখী ও দুই ঈদের বোনাস বেতনের সমপরিমাণ করতে হবে, ওভারটাইম বিল ২২ দিয়ে ভাগ করতে হবে এবং তা শ্রমিক আইন অনুযায়ী ১-৫ তারিখের মধ্যে পরিশোষ করতে হবে, মাহে রমজান মাসে ক্যান্টিন বিল সর্বনিম্ন ৮০০০-১০০০০ টাকা করতে হবে, প্রফিট বোনাস বছর শেষে সঠিক হিসাবে দিতে হবে, ছুটির হয়রানি বন্ধ করতে হবে, সাব-গ্রেড বাতিল করতে হবে, ১৪। প্রত্যেক স্থায়ী শ্রমিকদের ২০ বছর পূর্ণ হলে কোম্পানির মাধ্যমে হজ্জ্বের ব্যবস্থা করতে হবে, উক্ত প্রতিবাদের সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের কাউকে চাকুরী থেকে ছাটাই বা বহিষ্কার এবং কোন প্রকার হয়রানী করা যাবে না, ক্যান্টিন কোম্পানির আওতায় নিয়ে আসতে হবে এবং সেটা পরিচালনা করবে শ্রমিকরা, ডিরেক্টর আবুল কালাম আজাদের পদত্যাগ করতে হবে, ১৮। শ্রমিকদের বেতন ৮০% আপডেট করতে হবে।, জমাকৃত ছুটির টাকা ১০০% বেতন অনুযায়ী দিতে হবে।