• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫১ অপরাহ্ন
শিরোনাম
চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে মাদক কারবরি আটক দর্শনা থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান : ফেন্সিডিল ও গাজা সহ মাদক কারবারি স্বপন আটক টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রার ও স্ট্যাম্প ভেন্ডার কল্যাণ সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন : সভাপতি জাহাঙ্গীর সম্পাদক বকুল সাতক্ষীরায় সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলার উদ্বোধন বড়াইগ্রামে বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ আহত ১০ শিবগঞ্জে সম্পত্তি আত্মসাৎ ও গাজলু (ভারসাম্যহীন) গুমের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন গাজীপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র কিরনের বিচারের দাবিতে টঙ্গীতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল বৃহস্পতিবার সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া দর্শনায় আখরোপন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও পরিস্কার -পরিচ্ছন্ন আখ সরবরাহ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  তারা যেন আবেগের বশে জাতির প্রত্যাশার বাইরে কাজ না করে, চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতের আমির

রাষ্ট্রপতির দুবাই কানেকশন ও মালয়েশিয়ায় ‘সেকেন্ড হোম’ নিয়ে কৌতূহল

grambarta / ৪২ ভিউ
প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম, দুবাইয়ে পার্টনারশিপ ব্যবসা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে রেসিডেন্সি থাকার খবরে নড়েচড়ে বসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় চলছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের দুবাই কানেকশন নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা কৌতূহল। মানবজমিনের বরাতে জানা গেছে, গত মার্চে সর্বশেষ দুবাই সফর করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সে সময় দুই রাষ্ট্রের যথাযথ প্রটোকলে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে দুই রাত কাটান। পরিভ্রমণ করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকাশচুম্বী ভবন বুর্জ আল খলিফা। তার সম্মানে ছিল রিভার ক্রুজ এবং গালা ডিনারের আয়োজন। যেখানে আরব আমিরাতে বড় বিনিয়োগকারী প্রেসিডেন্টপুত্র আরশাদ আদনান রনিও অংশ নেন। দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্রমতে, বিদেশে রাষ্ট্রপতির সহায়-সম্পত্তি থাকার তথ্যের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর সরকারের একাধিক সংস্থা বিস্তৃত তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয় বরং সরকারের অন্য অর্গান এ নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ এটা দেখছে। এ ছাড়া কোনও এক পর্যায়ে হয়তো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করা হবে, বিষয়টির আইনগত অনেক দিক আছে। প্রেসিডেন্টের নিজের ব্যাপার আছে। সার্বিক বিবেচনায় এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজে থেকে নাড়াচাড়া করতে চায় না। এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জুরিসডিকশনের মধ্যেও পড়ে না। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতির একমাত্র ছেলে রনির দুবাইতে ব্যবসা রয়েছে। সেটার সূত্র ধরেই দুবাইয়ের একটি কোম্পানিতে রাষ্ট্রপতির বিনিয়োগ এবং আমিরাতে রেসিডেন্সি বা বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন তিনি। গত মার্চে রাষ্ট্রপতি চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার পথে ৩ দিন ছেলের সঙ্গে দুবাইতে কাটান। প্রেসিডেন্ট ৩ দিন দুবাইতে থাকলেও এ নিয়ে দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় কোনও খবর প্রচার হয়নি। তবে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস প্রেসিডেন্টের যাত্রা এবং লন্ডনে পৌঁছার খবর প্রচার করেছিল। কূটনৈতিক সূত্র এটা নিশ্চিত করেছে যে, প্রেসিডেন্ট, তার সহধর্মিণী এবং ছেলে আরশাদ আদনান রনি সফরের পুরো সময় পাম জুমেরা এলাকার একটি অভিজাত হোটেলে ছিলেন। ভিভিআইপি ওই সফরে যথাযথ প্রটোকল পান প্রেসিডেন্ট। আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, দুবাইতে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল এবং রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তায় থাকা দুই দেশের প্রটোকল ও সিকিউরিটি টিম রাষ্ট্রপতি ও তার সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা, ছেলে আরশাদ আদনান রনির প্রটোকলে নিয়োজিত ছিলেন। প্রেসিডেন্ট একটি কোম্পানির পার্টনার হিসেবে রেসিডেন্ট কার্ড পেয়েছেন জানিয়ে আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়, বিনিয়োগ থাকলে যে কেউ আমিরাতের রেসিডেন্সি পেতে পারেন। এ জন্য প্রত্যেক পার্টনারকে নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে আবেদন করতে হয়। রাষ্ট্রপতির ছেলের ব্যবসার বিষয়টি জানলেও তার নিজের ব্যবসা, বিনিয়োগ এবং রেসিডেন্সির তথ্য সাম্প্রতিক সময়ে জেনেছেন বলে দাবি করেন। এদিকে মালয়েশিয়ায় রাষ্ট্রপতির সেকেন্ড হোম থাকার বিষয়ে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে কোনও তথ্য নেই বলে দাবি করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার শামীম আহসান। একটি সূত্র বলছে, এসব কাজ যারা করেন তারা সাধারণত নিজের বিশ্বস্ত লোক দিয়ে করে থাকেন। স্পর্শকাতরতা বিবেচনায় একান্ত জরুরি কোনও বিষয় ছাড়া তারা দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ এড়িয়ে চলেন। তবে ব্যতিক্রমও আছে। যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের এক ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বিদেশে সম্পদ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়। তিনি রাষ্ট্রপতির মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোমে দেড় লাখ রিঙ্গিত বিনিয়োগ এবং দুবাইয়ের কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত ও ওয়ারাদ জেনারেল ট্রেডিং এলএলসি নামের দুবাইয়ে নিবন্ধিত একটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবসায়িক বিনিয়োগের বিনিময়ে রেসিডেন্সি ভিসা পাওয়ার প্রমাণস্বরূপ কিছু ডকুমেন্ট প্রদর্শন করেন। তা ছাড়া এ নিয়ে তিনি একটি অনলাইনে রিপোর্টও করেন।

এসব নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের আলাপ হয়। উপদেষ্টার কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, রাষ্ট্রপতির মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম আছে বলে যে আলোচনা চলছে সেটি সত্য কিনা? সত্য হলে এটি সাংবিধানিকভাবে কতোটা সঙ্গত? এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াকিবহাল কি না? প্রদর্শিত ডকুমেন্ট যাচাই বাছাই করা হবে কি না? উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, এটা প্রেসিডেন্টের বিষয়, খুবই সেনসিটিভ। যথাযথ কর্তৃপক্ষ এটা দেখুক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি যুক্ত হয়ও শেষ পর্যায়ে হবে, আর তখন দেখা যাবে। সেকেন্ড হোম থাকার পর কি  প্রেসিডেন্ট হওয়া যায়? এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এ বিষয়ে আইন উপদেষ্টা ভালো বলতে পারবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর