★ ছবি সংগৃহীত ★
নিজস্ব প্রতিবেদক : টঙ্গীতে বকেয়া বেতন-ভাতা ও কর্মকর্তা ছাঁটাইসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে চারটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। বুধবার সকাল থেকে নিজ নিজ কারখানার সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এতে বন্ধ আছে কারখানাগুলোর উৎপাদন কার্যক্রম। ওই কারখানাগুলো হলো শিল্প এলাকা এমট্রানেট গ্রুপের গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ লিমিটেড ও ব্রাভো অ্যাপারেল লিমিটেড কারখানা খাঁ পাড়া এলাকার সিজন ড্রেসেস লিমিটেড ও টঙ্গী বিসিকের টসিনিট কারখানা। এসব কারখানায় প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক কাজ করছে। গাজীপুর শিল্প পুলিশ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ শ্রমিক কর্মচারীদের উপর দুর্ভ্য ব্যবহার এবং নির্যাতনকারী কিছু কর্মকর্তার পদত্যাগ, ঈদ বোনাস, পর্যাপ্ত ছুটিসহ মোট ১৩ দফা দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার কারখানার ভেতর দিনভর কর্মবিরতি পালন করেন গার্মেন্টস এক্সপোর্ট ভিলেজ ও ব্রাভো অ্যাপারেল লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার সকাল থেকে আবার কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। একপর্যায়ে কারখানার সামনে বিক্ষোভে নামেন কিছু শ্রমিক। এদিকে একাধিক দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন টসিনিট কারখানার শ্রমিকেরাও। সিজন ড্রেসেস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের গত জুলাই ও আগস্ট মাসের বেতন বকেয়া আছে বলে তারা জানায়। প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করলে জুলাই মাসের অর্ধেক বেতন পরিশোধ করে মালিকপক্ষ। এর মধ্যে বাকি অর্ধেক বেতনের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে কারখানার ভেতর কাজ বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকেরা। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর শিল্প পুলিশের টঙ্গী জোনের সহাকারী পুলিশ সুপার মো. মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা ওই চার কারখানার শ্রমিকদের নানাভাবে বুঝিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২১ আগস্ট ছয় দফা দাবিতে গাজীপুরে প্রথমবার আন্দোলন শুরু করেন টঙ্গীর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা। এরপর ধীরে ধীরে অন্য কারখানাতে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকেরা। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও শুরু হয় শ্রমিক আন্দোলন। এরপর থেকে প্রতিদিনই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আসছে। দাবি আদায়ে কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটে। সহিংসতা ও ক্ষতি এড়াতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনেক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গত দুই দিন পরিস্থিতি তুলনামূলকভাবে স্বাভাবিক হলেও আবারও অশান্ত হয়ে উঠছেন টঙ্গীর শিল্প এলাকা। এতে বন্ধ কারখানাগুলোও চালুর চেষ্টা করেও আবারো বন্ধ হওয়ার পথে। এতে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের মধ্যে অসন্তোষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।