• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
চুয়াডাঙ্গায় মেধা,যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে কনস্টেবল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন  কুষ্টিয়ায় শীতের শুরুতেই আশা সংস্থার পক্ষ থেকে ৫ শতাধীক অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ  গাংনীতে ইউপি চেয়ারম্যান রাজ্জাকের অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন দর্শনা থানা পুলিশের অভিযানে চোরাই ট্রাক সহ আটক-১ মুজিবনগরে সুদমুক্ত ঋণ দেয়ার নামে প্রতারণা : নারী-পুরুষসহ আটক ৬ দামুড়হুদায় রাতের আধারে খালি ট্রাক চুরি সোহরাওয়ার্দী-নজরুল কলেজে হামলা ভাঙচুর,পরীক্ষা দিতে পারেননি শিক্ষার্থীরা মাফিয়ালীগের পুনরাবৃত্তি বাংলাদেশে যেন আর না হয়-রিজভি জামায়াতে ইসলামী আদর্শ থেকে এক চুলও বিচ্যুত হয় না : কর্মী সমাবেশে-রুহুল আমীন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন : সভাপতি মাহমুদুল হাসান খান বাবু, সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ

বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা : প্রধানমন্ত্রী

grambarta / ১৭৫ ভিউ
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমারা বাঙালি, বাংলা ভাষায় কথা বলি, মায়ের ভাষায় কথা বলি। বাংলা একাডেমি আমাদের অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার। বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। নিরাপত্তার বেড়াজালে স্বাধীনতা হারিয়ে গেছে বলে আফসোস করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বইমেলায় আসায় কোনো মজা নেই। কারণ, স্বাধীনতা নাই। ডানে তাকাব নিরাপত্তা, বায়েও নিরাপত্তা, পিছনে গেলে নিরাপত্তা, সামনে নিরাপত্তা; এই নিরাপত্তার বেড়াজালে স্বাধীনতাটাই হারিয়ে গেছে। এখানে আসলে মনে পড়ে স্কুল জীবনের কথা, ছোটবেলার কথা। এই প্রাঙ্গণের সঙ্গে সবকিছুই ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখন সেই স্বাধীনতাটা নাই। জানি না কবে আবার স্বাধীনতা পাব। শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার পদ অনুসরণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। স্বাধীনতার পর যখন জাতিসংঘ আমাদের স্বীকৃতি দিল, তিনি কিন্তু তখন সেখানে গিয়ে বাংলা ভাষায় ভাষণ দিয়েছিলেন। বাংলা ভাষায় ভাষণ অর্থাৎ বাংলাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া। আমি আমার বাবার পথ অনুসরণ করে এই পর্যন্ত যতবার ভাষণ দিয়েছি, বাংলায় ভাষণ দিয়েছি। তিনি বলেন, এখন আমাদের যুগ হয়ে গেছে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির যুগ। বই প্রকাশ অবশ্যই থাকবে, এটা যাবে না। কারণ, হাতে নিয়ে বই পড়ার মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ আছে। তবে আজকালকার ছেলে-মেয়েরা ট্যাবে করে বই পড়ে। আবার ল্যাপটপেও পড়ে। পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রীদের প্রধান বলেন, আমাদের ভাষা-সাহিত্য সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা উচিত। প্রকাশকদের অনুরোধ করে বলব— শুধু কাগজে প্রকাশ করলে হবে না ডিজিটালের প্রকাশক হতে হবে। ডিজিটাল প্রকাশক হলে এটা শুধু দেশে নয়, বিদেশেও পৌঁছাবে। মনমানসিকতা পরিবর্তন করে আধুনিক প্রযুক্তিও রপ্ত করতে হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারলে আমার এগিয়ে যাব। অনুবাদ সাহিত্যের জন্য বাংলা একাডেমিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, একসময় দাবি উঠেছিল— অনুবাদ করা যাবে না। কিন্তু আমি অনুবাদের পক্ষে। অনুবাদ যদি না হয় পৃথিবীর এত ভাষা আমরা কোথা থেকে জানব। একটা দেশকে, তার সংস্কৃতিকে জানতে হলে তার ভাষার মধ্য দিয়ে জানতে হবে। এবারের মেলার মূল প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’। বরাবরের মতো এবারও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকছে মেলার আয়োজন। মেলায় ৬৩৫ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বরাদ্দ পেয়েছে ৯৩৭টি ইউনিট। এবার প্রকাশনা সংস্থা বেড়েছে ৩৪টি। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০ প্রতিষ্ঠান ১৭৩টি ইউনিট এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৭৬৪ ইউনিট বরাদ্দ পেয়েছে ৫১৫ প্রতিষ্ঠান।

বইমেলার সময়সূচি :
এবারের বইমেলা অধিবর্ষের বইমেলা। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা অনুষ্ঠিত হবে। ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে রাত ৮টা ৩০ মিনিটের পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারবেন না। সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র-শনিবার বইমেলা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। ২১শে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর