“দুয়ে-দুয়ে চার”
নিলুফার লিনা
দিনের শেষে আমরা যারা খুলি হিসেবের খাতা তেমন কিছু পাইকি খুঁজে? শূন্যতেই সব গাঁথা।
লেখাপড়া, গানবাজনা, নাটক, কাজ যত হিসেবকে দূরে ঠেলতেই বোধকরি এই আয়োজন শত।
দিনের শেষে আসামির কাঠগড়া তার জন্যই বেশ পাকাপোক্ত।
দ্বায়িত্ব, কর্তব্য, নিয়মনীতি পালনে নেই যার কোন বালাই দিনের শেষে এত পেয়েও অভিযোগ অনুযোগে তারাই সকলকে চোখ রাঙায়।
ঘাড়ভাঙ্গা খাটুনি আর দ্বায়িত্বের চোরাবালিতে যে মগ্ন আমরা যারা অন্যায় আর অত্যাচারে বাদশাহী চাল চালছি, দিনের শেষে হিসাবে কি তারা দুয়ে-দুয়ে চার পাচ্ছি?
সমাজ, সমাজ, সমাজ, আর কতো-ধ্বনি তুলবো- সমাজকে এতা ভালোবেসে বল, কেউ কি কিছু পেলো?
অন্যায়, অবিচার আর নেতিবাচকতা যে সমাজের বুকে।
তাকে কেনো মোরা- শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট দিচ্ছি ঘটা করে।
তাই তো বলি, সময় থাকতে জ্ঞানীগুনী যারা সাবধান, স্রোতে ভাসিয়োনা গা।
দিনের শেষে জ্ঞানের হিসাব নিতে, স্বয়ং স্রষ্টাও ছাড়বেনা।
জীবন নামের সূর্য যখন অস্ত যাবে পাটে।
বোবা কালা আর নিথর যারা মুচকি হেসে সাক্ষ্য দিতে বোল ফুটাবে ঠোঁটে!
শূন্য হাতে আসি আমরা আবার খালি হাতেই ফেরত যাই ইহলোকে তাই দুয়ে-দুয়ে চার
কখনোই হবার নয়।