নিজস্ব প্রতিবেদক : চাকরি ফেরত পাওয়ার দাবিতে চুয়াডাঙ্গায় বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন পিলখানা হত্যাকান্ডে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। জানাগেছে, আওয়ামী সরকার আমলে ঢাকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সেনাবাহিনীর কয়েকজন অফিসারকে হত্যা করা হয়। ওই সময় অনেক বিডিআর সদস্যকে অভিযুক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হয়। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গার বেশ কয়েকজন বিডিআর সদস্যরা চাকরি হারান। বুধবার চুয়াডাঙ্গার চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি প্রদান শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। স্মারকলিপিতে তারা উল্লেখ করেছেন, ‘বিগত ২৫/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে পিলখানাসহ সারাদেশের ইউনিটসমূহে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছিলো তা তৎকালীন খুনি হাসিনার চক্রান্তে এবং ভারতীয় ‘র’ বাহিনী দ্বারা ঘটিয়ে তার পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছিলো। তার প্রতিদানে পিলখানাসহ সকল ইউনিট সমূহে অবৈধ আদালত স্থাপন করে। সেই আদালতে ছিলোনা আমাদের বাক স্বাধীনতা, কোন আইনজীবি নিয়োগ দেয়াও নিষেধ ছিলো। এমনকি যিনি বিচারক তিনিই ছিলেন শাস্তিদাতা। যা পৃথিবীর কোন দেশেও হয়তো এমন নিয়ম নেই। আমরা অত্যন্ত অসহায় হয়ে পড়েছি। সারা দেশে প্রায় ১৮ হাজার ক্ষতিগ্রস্থ বিডিআর সদস্য রয়েছেন। আমাদের দ্বারা টেকনাফ হতে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত রাষ্ট্র কিংবা সমাজের কোন ক্ষতি হয়নি। আপনি আমাদের একমাত্র অভিভাবক, আমাদের জরাজীর্ন সংসার জীবনের দিকে আপনার সুমহান দৃষ্টি দিয়ে ওই অবৈধ আদালত বিলুপ্ত ঘোষণা পূর্বক পুনরায় আমাদের চাকরীতে যোগদানের ব্যবস্থা করার জন্য অতি বিনয়ের সহিত আবেদন করছি। বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদানকালে চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।