• শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম
টঙ্গীতে দুই শিশুকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন মা: পুলিশ টঙ্গীতে ফ্লাট বাসায় ভাই-বোনকে কুপিয়ে হত্যা দর্শনা জয়নগর আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার গাজীপুরে ১৮ রাউন্ড গুলি ও বিদেশি পিস্তল সহ গ্রেপ্তার-৩ গাজীপুরে ওসির প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ গাজীপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে দুদকের অভিযান সহ সারাদেশে একযোগে ৩৫টি সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দুদকের অভিযান  চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযান : ২০ পিচ প্যাথেডিন সহ আটক-১ সড়ককে শৃঙ্খলা ফেরাতে ট্রাফিক বিভাগের আয়োজনে জীবননগরে ইজিবাইক/থ্রি হুইলার চালকদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে টঙ্গীতে তা’মীরুল মিল্লাত শিক্ষার্থীরদের বিক্ষোভ মিছিল চুয়াডাঙ্গায় হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মেহেদী হাসান

দরিদ্রতার কষাঘাতে জর্জরিত নেপেন- সুৃভাসিনি দম্পতি : টাকার অভাবে মই দিচ্ছেন নিজের জমিতে

grambarta / ১২০ ভিউ
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ হতদরিদ্র নেপেন (৪০) ও সুভাসিনি (৩৫) দম্পতি। আয়ের উৎস বলতে অন্যের জমি বর্গাচাষের পাশাপাশি খালে-বিলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করাই তার পেশা । এতে যে টাকা মেলে তা দিয়েই মেটাতে হয় সংসারের সাত সদস্যের মৌলিক চাহিদা। তাই খরচ বাঁচাতে গরুর হালের পরিবর্তে নিজেরাই জমিতে মই দিচ্ছেন এই দম্পতি। এ কাজে পালাক্রমে কখনো স্বামীকে আবার কখনো স্ত্রীকে গরু এবং চাষির ভূমিকা রাখতে হচ্ছে তাদের। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের পবনাপুর (চরেরহাট) গ্রামে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। যেখানে খোলা প্রান্তরে ইরি-বোরো মৌসুমে আধুনিক কৃষিযন্ত্রের সাহায্যে জমি তৈরিতে ব্যস্ত আধুনিক কৃষকরা সেখানে ব্যতিক্রম নেপেন- সুভাসিনি দম্পতি।তীব্র ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে পানিতে ভিজে জমি সমান করতে শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে গরুর পরিবর্তে হালচাষ করছেন তারা। বাঁশের তৈরি মইয়ের দুপাশে দড়ি বেঁধে দুহাতে টেনে হাল চাষ করতে গরুর ভূমিকা রাখছেন সুভাসিনি এবং শক্ত হাতে মই চেপে রেখেছেন নেপেন। ফলে কাঁদাজলে ভেজা উঁচু-নিচু জমি সমান হয়ে চাষের উপযোগী হয়ে উঠছে। সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে এ দম্পতি জানান, তাদের নিজেদের কোনো জমি নেই। অন্যের জমি চাষাবাদ করেই চলে তাদের জীবন ও জীবিকা ৷ প্রায় এক বিঘা জমি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করেন তারা। আজ দশ শতক জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের জন্য মই দিচ্ছেন। বর্গা নেওয়া জমি থেকে যে পরিমাণ ধান উৎপাদন হয় তার অর্ধেক দিতে হয় জমির মালিককে বাকি ধান দিয়ে সারা বছরের দু’ মুঠো ভাতের যোগান মেটাতে হয় তাদের। তাই টাকা দিয়ে গরুর হাল কিনতে অসমর্থ হওয়ায় গরুর পরিবর্তে নিজেরাই পরিশ্রম করে জমিতে মই দিচ্ছেন। তারা আরও বলেন, তাদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে মাধব এসএসসি পাশ করেছে। ছোট ছেলে নিখিল, মেয়ে লক্ষ্মী ও প্রতিমা হাইস্কুলে পড়াশুনা করছে। এছাড়া অর্জুন নামে কোলের এক সন্তান রয়েছে তাদের। পবনাপুর এক নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি চান মিয়া বলেন, নেপেন-সুভাসিনি দম্পতি আমার প্রতিবেশী। তারা জেলে পরিবারের সদস্য। সমাজে টিকে থাকার জন্য তারা জীবন যুদ্ধে অনেক কঠোর সংগ্রাম করে চলছেন। পবনাপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম বলেন, জমিতে পানি এবং হাল চাষের পর মাটি সমান করতে মই দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত এ কাজটি গরু দিয়ে করা হয়ে থাকে। কিন্তু নেপেন-সুভাসিনি দম্পতি মুলত আর্থিক সংকটের কারণেই নিজেরা এ কাজটি করতে বাধ্য হচ্ছেন। অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে এমন পশুর কাজ মানুষ করা সত্যিই অপমানজনক বলে মনে করছেন অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ ৷ এটা মানবাধিকার লংঘনের মধ্যে পড়ে কি না এমনটিও জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেন কয়েকজন সাধারণ কৃষক ৷


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর