নিজস্ব প্রতিবেদক : চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে নিজের মেয়েকে দিয়ে দেহব্যবসা করানোর পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিবাদ করলে নিরীহ গ্রামবাসীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় মায়ের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে মেয়েসহ গ্রামবাসী। ১৮ মে শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কাশিপুর গ্রামে অভিযুক্ত আবেদার বাড়ির সামনে গ্রামবাসীর উদ্যোগে উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে এলাকার চিহ্নিত দেহব্যবসায়ী আবেদার বিরুদ্ধে তার মেয়ে জুই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কাশিপুর গ্রামের মৃত আত্তাব আলীর মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা আবেদা খাতুন নিজ বাড়িতে দেহব্যবসা চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তার একমাত্র মেয়েকে দিয়েও সে দেহব্যবসা করানোর পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় মেয়ে জুই ও মেয়ে জামাই মিন্টু প্রতিবাদ করলে আবেদা খাতুন মেয়েকে মারধর করে জামাই মিন্টুর কাছ থেকে জোর করে ডিভোর্স করানোর চেষ্টা করে। এ ঘটনায় আবেদার ভাই নজরুল ইসলাম প্রতিবাদ করলে নিজের মেয়ে, জামাই ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মিথ্যা মামলা দেন আবেদা। ওই মামলায় গ্রেফতার হয়ে জামাই মিন্টু জামিনে ছাড়া পেলেও ভাই নজরুল এখনো জেলহাজতে রয়েছেন। এছাড়াও গ্রামের সহজ সরল ও প্রতিবাদী মানুষের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করে এলাকার মানুষকে অতিষ্ঠ করে তুলেছেন। আবেদার এহেন সমাজ বিরোধী কর্মকাণ্ডে ফুঁসে উঠেছে এলাকার মানুষ। তারা অবিলম্বে আবেদার উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মিন্টু মিয়া, শিপন মন্ডল, সুফিয়া বেগম, তরী, জুইসহ শতাধীক নারী-পুরুষ। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবেদা খাতুন বলেন, ‘তাকে মেরে আহত করার কারণে মামলা দেয়া হয়েছে। দেহব্যবসার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি আরও বলেন তাকে গ্রামছাড়া করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।