শাহজালাল দেওয়ান : ঢাকা-১৮ আসনের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব হাজী মোস্তফা জামানের দিকনির্দেশনায় শুক্রবার উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে এক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মানবিক উদ্যোগের মাধ্যমে গরিব, খেটে খাওয়া ও অসহায় মানুষের মাঝে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজী মোস্তফা জামান বলেন, এই উদ্যোগ চলমান থাকবে। প্রতি শুক্রবার ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডে পর্যায়ক্রমে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করা হবে, যাতে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষ সহজেই চিকিৎসা সেবা পেতে পারেন। তিনি আরও বলেন,গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সাধারণ মানুষ সরকারি হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা পায়নি। সেই অভাব পূরণে আমরা মাঠে নেমেছি। শহীদ জিয়াউর রহমানের পরিবার সব সময় মানুষের সেবা করতে চায়। তারেক রহমান সবসময় আমাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে এবং প্রয়োজনীয় সাহায্য করতে নির্দেশনা দিয়ে আসছেন। আমরা তারই ধারাবাহিকতায় এই ক্যাম্পের আয়োজন করেছি। হাজী মোস্তফা জামান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের এক সাহসী নেতা, যিনি অল্প সময়ে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলার দিকনির্দেশনা দেন এবং জাতিকে আত্মনির্ভরশীলতার পথে এগিয়ে নেন। তার কৃষি বিপ্লব, দেশের উন্নয়ন এবং জাতীয় স্বার্থে অবদান চিরস্মরণীয়। কিন্তু যারা তার দেশপ্রেম ও সৎ নেতৃত্ব মেনে নিতে পারেননি, তারাই ষড়যন্ত্র করে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আল্লাহ তাঁকে শহীদের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবদানও তুলে ধরেন। উত্তরার একটি মাদ্রাসা, যার বর্তমান মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা,এই এলাকার তৎকালীন এমপি এস এ খালেক মাত্র ২০০২ টাকায় জমিটি মাদ্রাসার নামে বরাদ্দ দেন। এটি খালেদা জিয়ার ধর্মপ্রাণ নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। উদ্বোধনের পরপরই দেখা যায়, বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সাধারণ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে চিকিৎসা গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছেন। বিশেষ করে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এটি যেন এক আশার আলো। দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আগত অভিজ্ঞ ও দক্ষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা প্রদান করছেন। আয়োজকরা জানান, এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প প্রতি শুক্রবার ঢাকা-১৮ আসনের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অনুষ্ঠিত হবে, যাতে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত মানুষরা নিয়মিত চিকিৎসাসেবা পেতে পারেন।